দেশে ১৫ থেকে ২৯ বছর বয়সী যুবক-যুবতীর সংখ্যা ২ কোটি। এর মধ্যে ৭৪ লাখ কোনো শিক্ষা, প্রশিক্ষণ বা কর্মসংস্থানের সাথে যুক্ত নেই। ফলে আন্তর্জাতিক যুব সূচকে ২০১৬ এ ১৮৩টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান দাঁড়িয়েছে ১৪৬ তম। এ অবস্থা থেকে উত্তরোণের জন্য সরকারকে যুব নীতি গ্রহণের পাশাপাশি পর্যাপ্ত বরাদ্দ দিতে হবে।
মঙ্গলবার রাজধানীর লেকশোর হোটেলে ‘প্রান্তিক যুবসমাজের কর্মসংস্থানে সরকারি পরিষেবার ভূমিকা’ শীর্ষক সংলাপে উত্থাপিত গবেষণা প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়। সিপিডি আয়োজিত সংলাপে এ তথ্য তুলে ধরেন সিপিডির গবেষণা পরিচালক খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম। এতে বলা হয়, নিজেদের নির্বচনী ইশতেহার অনুযায়ী, ২০৩০ সালের মধ্যে দেশে নতুন করে ৩ কোটি যুবজনগোষ্ঠীর কর্মসংস্থান সৃষ্টির প্রতিশ্রুতি দিয়ে আসছে সরকার। কিন্তু সরকারের কর্মসংস্থান সৃষ্টির গতি প্রকৃতি যেভাবে চলছে তাতে, ঊর্ধ্বে ১ কোটি ৪৯ লাখ, অর্থাৎ অর্ধেক কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে। আর বেকার থাকবে অর্ধেক যুবক।
দেশে এখন ১৫ থেকে ২৯ বছর বয়সী সুবিধা বঞ্চিত ২ কোটি যুবক রয়েছে। যা মোট শ্রমগোষ্ঠীর প্রায় ৩০ শতাংশ। এ যুবকরা চার ধরনে চ্যালেঞ্জে রয়েছে। এগুলো হচ্ছে-জীবন ও জীবিকা, শিক্ষা, প্রশিক্ষণ এবং কর্মসংস্থান । প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, গবেষণাটি চালানো হয়েছে চারটি জনগোষ্ঠীর ওপর। সেগুলোর মধ্যে রয়েছে ঠাকুরগাঁয়ের সমতল আদিবাসী, শহরের বস্তিবাসী, মাদরাসা শিক্ষার্থী এবং সিলেট শহরে থাকা জনগোষ্ঠী। গবেষণা পরিচালনা করা হয়, চার ধরনের ৩৩৩ জনের ওপর। সিপিডির বিশেষ ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য সংলাপ সঞ্চালনা করেন।
আপনার মতামত দিন
নাম