রাতুল মন্ডল সাফারি পার্ক থেকে ফিরে: অস্ট্রেলিয়ার প্রতিবেশি দ্বীপ নিউ গিনি, তাসমিনিয়া, সাভানা, নয় বঙ্গবন্ধুর শেখ মুজিব সাফারি পার্কে ছিলো ক্যাঙ্গারু।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্ক কর্তৃপক্ষের অযত্ন আর অবহেলার কারণে বছর খানেক আগে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারী পার্ক থেকে একে একে বিলীন হয় সবকটি ক্যাঙ্গারু।
সরজমিন ঘুরে দেখা যায়, ক্যাঙ্গারু বেষ্টনীটি নতুন করে বালি দিয়ে ভরাট করা হচ্ছে। এতে করে বুঝা যায় দর্শনার্থীদের বিনোদনের কথা চিন্তা করে পার্ক কর্তৃপক্ষ পুনরায় ক্যাঙ্গারু আমদানি করবেন। খুব তাড়াতাড়ি শেখ মুজিব সাফারি পার্কটিকে ক্যাঙ্গারুর শূন্যতা পূরণ করে আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনবে।
জানাযায় একের পর এক ক্যাঙ্গারু মৃত্যুর কারণে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কে ক্যাঙ্গারু পরিবারে এ শূণ্যতার সৃষ্টি হয়েছে।
জানাযায় , সাফারি পার্কে দর্শনার্থীদের বিনোদনের চিন্তা করে ২০১৩ সালের আগস্ট মাসে প্রাণী আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান ফ্যালকন ট্রেডার্সের মাধ্যমে দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে কিনে আনা হয় একটি পুরুষ ও দুটি স্ত্রী ক্যাঙ্গারু।
পরে এদের সাফারী পার্কের বেষ্টনীর ভেতর ছেড়ে দেওয়া হয়। প্রথম অবস্থায় দেশীয় আবহাওয়ার সঙ্গে নিজেদের খাপ খাইয়ে নিয়েছিল ক্যাঙ্গারু দম্পতি। এই দম্পতির ঘরেই দুই বছর পর ২০১৫ সালে প্রথম ক্যাঙ্গারু শাবক জন্ম নেয়। কিন্তু জন্ম নেওয়ার কয়েকদিন ক্যাঙ্গারু শাবকটি মারা যায়। এর বছর খানেক পর ২০১৬ সালে ফের এই ক্যাঙ্গারু দম্পতি আরো একটি মাদি বাচ্চার জন্ম দেয়। তবে ২০১৭ সালের অক্টোবর মাসে পার্কের একমাত্র পূর্ণবয়স্ক পুরুষ ক্যাঙ্গারুটি মারা যাওয়ার পর পার্কটিতে ক্যাঙ্গারু পরিবারটি পুরুষ শূণ্য হয়ে। এতে নতুন প্রজন্ম আর সৃষ্টি হয়নি।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সহকারী বন সংরক্ষক মোঃ তবিবুর রহমান বলেন, শুধু ক্যাঙ্গারু বেষ্টনী নয়, সাফারি পার্কের যে বেষ্ঠনীতে যে শূন্যতা আছে দর্শনার্থীদের বিনোদনের কথা মাথায় রেখে খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে শেখ মুজিব সাফারি পার্ক আগের ন্যায় ফিরিয়ে আনবো।