আলী আজগর পিরু. টঙ্গী: টঙ্গীর তুরগা তীরে শুরু হয়েছে সাদ পন্থীদের বিশ্ব ইজতেমা। আম বয়ানের মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে ৫৫তম বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্ব। ফজরের নামাজের পর থেকে উর্দূ ভাষায় বয়ান শুরু করেন মাওলানা ওসমান। বাংলায় তরজমা করেন মাওলানা আবদুল্লাহ মনসুর। মাওলানা সাদ কান্ধলভীর অনুসারীরা এই পর্বের ইজতেমায় অংশ নিচ্ছেন।
তিন দিনের এই ইজতেমায় অংশ নিতে এরই মধ্যে লাখো মুসল্লি হাজির হয়েছে তুরাগ নদের তীরে। কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে গেছে ইজতেমা ময়দান। ঢাকা ও গাজীপুরসহ আশপাশের জেলাগুলো থেকে আরও অনেক মুসল্লি শরিক হবেন দুপুরে জুমার নামাজে।
এর আগে, বুধবার সকাল থেকেই ইজতেমা ময়দানে আসতে শুরু করেন দেশ-বিদেশের মুসল্লিরা। ১৬০ একর জমিতে স্থাপিত চটের প্যান্ডেলে অবস্থান নিয়েছেন তারা।
এদিকে, দ্বিতীয় পর্বের ইজতেমায় যোগ দিতে এসে গত দুই দিনে তিন মুসল্লির মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে গতকাল ইজতেমায় আসার সময় টঙ্গীতে সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যান গাইবান্ধার গোলজার হোসেন ও নরসিংদীর সুরুজ মিয়া। রাতে সুনামগঞ্জের দোয়ারা বাজার উপজেলার চানপুর এলাকার কাজী আলাউদ্দিন মারা গেছেন ইজতেমা ময়দানেই।
এর আগে, তুরাগ তীরে তাবলীগ জামাতের ৫৫তম বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্ব রবিবার আখেরি মোনাজাতে মুসলিম উম্মার গোনাহ মাফ শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনায় শেষ হয়েছে। ইজতেমা প্রথম পর্ব পরিচালনা করেন মাওলানা জোবায়েরের অনুসারীর মুরুব্বিরা।দ্বিতীয় পর্ব পরিচালনা করবেন ভারতের মাওলানা সাদ পন্থিরা।শুক্রবার ফজরের নামাজের পর আম বয়ানের মধ্য দিয়ে শুরু হবে বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্ব।দু’পর্বের ছয়দিনের বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্বের তিনদিনের বিশ্ব ইজতেমা আখেরি মোনাজাত হবে ১৯ শে জানুয়ারি রবিবার।পবিত্র হজ্বের পর মুসলমানদের দ্বিতীয় বৃহত্তম ধর্মীয় সমাবেশে এই বিশ্ব ইজতেমা। প্রথম পর্বের মত দ্বিতীয় পর্বেও দেশ বিদেশের লাখো ধর্মপ্রাণ মুসল্লি ইজতেমায় অংশ নিয়েছেন।
গত শুক্রবার (১০ই জানুয়ারি) বাদ ফজর আম বয়ানের মধ্য দিয়ে শুরু হয় বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব। বাংলাদেশের তাবলীগের প্রধান মারকাজ কাকরাইলের মুরব্বি হাফেজ মাওলানা জোবায়ের আহমদের অনুসারীরা অংশ নেন এই পর্বে। লাখো মুসল্লির উপস্থিতিতে রোববার (১২ই জানুয়ারি) বাদ ফজর ইজতেমা ময়দানে মুসল্লিদের উদ্দেশে হেদায়েতি বয়ান পেশ করেন পাকিস্তানের মাওলানা জিয়াউল হক। আখেরি মোনাজাতের আগে বিশেষ বয়ান করেন ভারতের মাওলানা ইবরাহীম দেওলা। হাফেজ মাওলানা জোবায়ের আহমদের পরিচালনায় আখেরি মোনাজাতের মাধ্যমে শেষ হয় প্রথম পর্বের ইজতেমা।