পূজার কারণে ভোটের তারিখ পরিবর্তন বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ থেকে যে রায় আসবে কমিশন তা অবশ্যই মেনে নেবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সিনিয়র সচিব মো: আলমগীর।
আজ দুপুরে নির্বাচন ভবনে নিজ দপ্তরে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন। তিনি বলেন, আমাদের সব সময় আদালতের প্রতি শ্রদ্ধা রয়েছে। যে কোন আইনের ব্যাখ্যা বা প্রশাসনিক কোনো সিদ্ধান্ত নেয়ার পরে আদালত সেটাকে পরিবর্তন করে দেয় সে ক্ষমতা আদালতের আছে। সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ সর্বোচ্চ আদালত। সেখান থেকে যদি অন্য কোনো সিদ্ধান্ত আসে, সেটা অবশ্যই কমিশনের মেনে নিতে হবে।
শিক্ষার্থীরা আদালতের রায়ের পরে আন্দোলন করছে- এ বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ছাত্ররা আন্দোলন কেন করছেন, কারা এটিকে সংগঠিত করছেন, সে ব্যাপারে আমাদের কাছে তথ্য নেই। হয়ত কেউ পেছন থেকে তাদের বুঝাচ্ছেন যে পূজার দিনে ভোট হচ্ছে, অথবা মহামান্য আদালত যে আদেশ দিয়েছেন বুঝে শুনেই দিয়েছেন এবং নির্বাচন কমিশনও বুঝে শুনেই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে নিশ্চয়ই তাদের বুঝানো হচ্ছে না।
সচিব বলেন, সরকারি ক্যালেন্ডারে ২৯ তারিখ পূজার কথা বলা আছে। ক্যালেন্ডার তো সেদিন হয়নি, এটি অক্টোবরে হয়েছে।
এবং নভেম্বরে এটি গেজেট আকারে প্রকাশ হয়েছে। সমস্ত সরকারি প্রতিষ্ঠানে এই ক্যালেন্ডার রয়েছে। তখন কেন তারা সরকারের কাছে বলেননি পূজা ২৯ নয় ৩০ তারিখে। সরকার যদি মনে করত পূজা ৩০ তারিখে তাহলে সেদিন পূজার তারিখ ঘোষণা করতেন। তাহলে আমরাও ২৯ তারিখেই শিডিউল দিতে পারতাম কোন সমস্যা ছিল না। এখন সরকারিভাবে ২৯ তারিখ পূজার তারিখ দেয়ায় সেদিন ভোট দেয়ার সুযোগ ছিল না নির্বাচন কমিশনের।
দুদকের মামলায় ইশরাকের বিচার শুরু হয়েছে, এ বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমাদের পক্ষ থেকে নির্দেশনা ছিল কোন প্রার্থী বা তার পক্ষে যদি নির্বাচন পরিচালনা বা সমর্থন যারা করবেন তাদের যেন গ্রেপ্তার বা হয়রানি করা না হয়। কিন্তু ওনার বিরুদ্ধে যে মামলা সেটা পুরনো মামলা। এটা একটা দুর্নীতির মামলা। তবে বিষয়টি এ ধরনের না যে এখনই গ্রেপ্তার করতে হবে। মামলার বিষয়ে আদালতে শুনানি হয়েছে, এটা আমাদের বা পুলিশের পক্ষ থেকে না। এটা আদালতে শুনানি হয়েছে, আগামি ফেব্রুয়ারি মাসে একটি তারিখ ঠিক হয়েছে তখন শুনানি দেবেন তারা। এর ফলে তো নির্বাচনের প্রচারণায় কোন বাধা নেই।
সিনিয়র সচিব বলেন, তাকে (ইশরাক) গ্রেপ্তারও করা হচ্ছে না, এমনকি কোন বাধার সৃষ্টিও করা হচ্ছে না। এটা প্রক্রিয়াগতভাবে হবে। তিনি নির্বাচন করবেন, প্রচারণাও করবেন। এটার কারণে তো নির্বাচন প্রক্রিয়ার কোন বাধা নেই।