রাতুল মন্ডল শ্রীপুর: গাজীপুরের শ্রীপুরে প্রেমিকের জন্মদিনের অনুষ্ঠানে প্রেমিকাকে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। মঙ্গলবার রাতে উপজেলার গাজীপুর ইউনিয়নের ফরিদপুর (নয়নপুর) গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। ধর্ষিতার শিকার ছাত্রীর মা ধর্ষনের অভিযোগে তিন বন্ধুর নামে শ্রীপুর থানায় মামলা দায়ের করেন। এ ঘটনায় উর্মি নামের একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
মামলায় অভিযুক্তরা হলেন নয়নপুর গ্রামের সোহরাব হোসেনের ছেলে শরিফ (১৮), লিটন মিয়ার ছেলে সুজন (১৯), শরীফ (২০) পিতা-অজ্ঞাত এবং কবির হোসেনের স্ত্রী উর্মি (১৮)।
ধর্ষিতার মা জানান, টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলার মাহাম্মদ নগর গ্রামের বাসিন্দা। শ্রীপুরের নয়ণপুর এলাকায় ভাড়া থেকে স্বামী দিনমজুর ও তিনি স্থানীয় একটি পোশাক কারখানায় কাজ করেন। তার মেয়ে স্থানীয় শিশু শিক্ষা মডেল একাডেমীর অষ্টম শ্রেনীর ছাত্রী। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় পাশের ঘরের উর্মি তাকে সুজনের জন্মদিনের দাওয়াতে নিয়ে যায়। দাওয়াত খাওয়ার পর তাকে কোমল পানীয় “স্প্রিট” খেতে বললে সে নিষেধ করে। জোর করে তাকে “স্প্রিট” খাওয়ালে সে অচেতন হয়ে পরে। পরে তারা কিশোরকে বাড়ি থেকে একটু দূরে ঝোপে নিয়ে যায়। সেখানে উর্মির সহযোগীতায় তিন বন্ধু মিলে ধর্ষন করে।
এদিকে, সন্ধ্যা সাতটায় বাসায় ফিরে মেয়েকে না পেয়ে পরিবারের লোকজন তাকে বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুজি শুরু করে। খোঁজখুঁজি শেষে রাত ১০টায় বাড়ি ফেরার সময় বাড়ির গেইটে অচেতন অবস্থায় তার মেয়েকে পড়ে থাকতে দেখেন। তাকে উদ্ধার করে শুশ্রæষা করেন। পরদিন বুধবার স্কুলে গিয়ে সে শারিরীকভাবে দুর্বল হয়ে পড়ে। খবর পেয়ে তার মা তাকে বাসায় নিয়ে আসে। জিজ্ঞাসা করলে তাকে অচেতন করে ধর্ষনের কথা জানায় সে।
শ্রীপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) নাজমুল সাকিব জানান, বুধবার রাত সাড়ে ১১টায় ধর্ষিতা তার মেয়েকে থানায় নিয়ে এসে অভিযোগ দিলে রাতেই সহযোগী উর্মিকে গ্রেপ্তার করা হয়। অপর আসামীরা ঘটনার পর থেকে পলাতক রয়েছে। ধর্ষিতা কিশোরীকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য বৃহষ্পতিবার দুপুরে গাজীপুর শহীদ তাজ উদ্দিন আহমেদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। অভিযুক্ত প্রধান আসামী শরিফসহ (১৮) বাকি দুজনকে গ্রেপ্তারের জন্য পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে।