ঢাকা: প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা ২০১৩’ লঙ্ঘন করে গত ২৪ ডিসেম্বর ঘোষিত ফল কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
একইসঙ্গে ঘোষিত ওই ফল বাতিল করে প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা ২০১৩ অনুসরণ করে নতুন ফল কেন ঘোষণা করা হবে না- রুলে তাও জানতে চেয়েছেন আদালত।
নিয়োগে ২০১৩ সালের শিক্ষক নীতিমালা অনুসরণ না করায় ১৬ জন নিয়োগ প্রার্থীর পক্ষে করা এক রিটের শুনানি নিয়ে হাইকোর্টের বিচারপতি এম. ইনায়েতুর ও রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ আজ মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) এ রুল জারি করেন।
রুলে আগামী ১০ দিনের মধ্যে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালকসহ সংশ্লিষ্টদের এসব রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মো. কামাল হোসেন। তাঁকে সহযোগিতা করেন ব্যারিস্টার লোমত আরা চৌধুরী। আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত তালুকদার।
আইনজীবী কামাল হোসেন বলেন, ‘প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা ২০১৩ এর ৭ ধারায় বলা হয়েছে, এই বিধিমালার অধীন সরাসরি নিয়োগযোগ্য পদগুলোর ৬০ শতাংশ মহিলা প্রার্থীদের মাধ্যমে, ২০ শতাংশ পোষ্য প্রার্থীদের মাধ্যমে এবং বাকি ২০ শতাংশ পুরুষ প্রার্থীদের মাধ্যমে পূরণ করা হবে।’
কিন্তু গত ২৪ ডিসেম্বর ঘোষিত ফলে আইনের বিধান অনুসরণ করা হয়নি। তাই প্রতিকার চেয়ে ১৬ জন নিয়োগপ্রার্থী ওই ফলের বৈধতা নিয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন। সেই রিটের শুনানি নিয়ে রুল জারি করলেন হাইকোর্ট।
এর আগে গত ২৪ ডিসেম্বর প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় প্রাথমিকের সহকারী শিক্ষক নিয়োগের মৌখিক পরীক্ষায় ১৮ হাজার ১৪৭ জন প্রার্থীকে বাছাই করে ফল প্রকাশ করে।