ডেস্ক: ইরানে সরকার বিরোধী বিক্ষোভ অব্যাহত রয়েছে। তৃতীয় দিনের মতো বিক্ষোভকারীরা সোমবারও রাজধানী তেহরান ও বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ করেছেন। ইস্পাহান ও তেহরানে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরে বিক্ষোভের সময় মোতায়েন করা হয় দাঙ্গা পুলিশ। অভিযোগ করা হয়েছে, বিক্ষোভকারীদের প্রতি গুলি করা হয়েছে। তবে এ অভিযোগ অস্বীকার করেছে কর্তৃপক্ষ। তবে গুলিবিদ্ধ মানুষ ও রক্তের ছবি প্রচার করা হয়েছে গণমাধ্যমে। বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে বলা হয়েছে, বিক্ষোভকারীদের প্রতি কাঁদানে গ্যাস ছোঁড়া হয়েছে। এ খবর দিয়ে অনলাইন আল জাজিরা বলছে, ইরানের ধর্মীয় নেতাদের বিরুদ্ধে শ্লোগান দিয়ে বিক্ষোভ করেছে সাধারণ জনতা।
অনেক ক্ষেত্রেই তারা দমনপীড়নের শিকার হয়েছে। গত বুধবার ভুল করে ইউক্রেনের একটি যাত্রীবাহী বিমান ভুল করে ভূপাতিত করার দায় স্বীকার করে ইরান। এরপরই বিক্ষোভ শুরু হয়। বিক্ষোভ থেকে দাবি তোলা হয়েছে সুপ্রিম নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনির পদত্যাগ। এ বিক্ষোভে সমর্থন দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প। সম্প্রতি এ দুটি দেশের মধ্যে উত্তেজনা সবচেয়ে চরম অবস্থায় উপনীত হয়েছে। ১৯৭৯ সালে ইরানে ইসলামী বিপ্লবের পর যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে এত উত্তেজনাকর অবস্থা যুক্তরাষ্ট্রের আর সৃষ্টি হয়নি।
সোমবার বিক্ষোভকারীরা ‘ধর্মীয় নেতারা বিদায় হও!’ স্লোগান দেয়। নিউ ইয়র্ক ভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থা সেন্টার ফর হিউম্যান রাইটস ইন ইরানে পাঠানো ভিডিওতে দেখা গেছে, বিপুল সংখ্যক মানুষ সমবেত হয়েছেন আজাদি স্কোয়ারে। সেখানে তাদের দিকে কাঁদানে গ্যাস ছুড়ছে পুলিশ। এ সময় গ্যাসের তীব্রতায় বিক্ষোভকারীদের কাশতে দেখা যায়। তারা বাঁচার জন্য এদিক ওদিক দৌড়াতে থাকে। তার মধ্য থেকে একজন নারী বলতে থাকেন- তারা জনগণের ওপর কাঁদানে গ্যাস ছুঁড়েছে। আজাদি স্কোয়ার। মৃত্যু হোক স্বৈরাচারের।
আরেকটি ভিডিওতে দেখা যায়, একজন নারীকে ধরে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। এ সময় মাটিতে রক্তের ছাপ দেখা যায়। তার চারপাশে যারা ছিলেন, তাদেরকে বলতে শোনা যায় তার পায়ে গুলি করা হয়েছে। একজনকে বলতে শোনা যায়, তার শরীর থেকে অনবরত রক্তপাত হচ্ছে। এর আগের দু’দিনেও একই রকম চিত্র মিলেছে। মাটিতে দেখা গেছে রক্ত। অনেক মানুষ আহত হয়েছে। গুলির শব্দ শোনা গেছে। তবে পুলিশ গুলি করার অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে। এ অবস্থায় প্রতিবাদকারীদের হত্যা না করতে ইরানের নেতাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন ট্রাম্প। তিনি বলেছেন, ইরানের ঘটনা বিশ্ব দেখছে, যুক্তরাষ্ট্র নজর রাখছে।