ডেস্ক: যুক্তরাষ্ট্রের হামলায় ইরানি জেনারেল কাশেম সোলাইমানির মৃত্যুর ঘটনায় এখনো অস্থির গোটা মধ্যপ্রাচ্য। এবার জানা গেছে, আরও এক ইরানি জেনারেলকে হত্যার উদ্দেশ্যে ইয়েমেনে গোপনে হামলা চালিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র, সেটিও আবার সোলাইমানিকে হত্যার দিনই। কিন্তু গোপন সেই অপারেশন ব্যর্থ হওয়ায় বেঁচে যান সেই ইরানি সেনা কর্মকর্তা।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দুই মার্কিন কর্মকর্তা গতকাল শুক্রবার রয়টার্সকে গোপন এই হামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। ওই দুই মার্কিন কর্মকর্তার একজন জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্রের নিশানায় থাকা সেই ইরানি জেনারেলের নাম আবদুল রেজা শাহলাই। তিনি ইরানের রেভল্যুশনারি গার্ডের অভিজাত কুদস ফোর্সের সিনিয়র কর্মকর্তা। এই কুদস ফোর্সের প্রধান হিসেবেই দায়িত্ব পালন করছিলেন সোলাইমানি। শাহলাইয়ের খোঁজ দিতে পারলে ১৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার পর্যন্ত পুরস্কারও ঘোষণা করেছিল যুক্তরাষ্ট্র।
মার্কিন রাজস্ব বিভাগের বরাত দিয়ে রয়টার্স জানিয়েছে, মার্কিন নাগরিক ও যুক্তরাষ্ট্রের বন্ধুপ্রতিম দেশগুলোর নাগরিকদের ওপর হামলা চালানোর ব্যাপারে দীর্ঘদিন ধরে পরিকল্পনা করছিলেন বলেই আবদুল রেজা শাহলাইকে লক্ষ্যবস্তু বানিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র। যুক্তরাষ্ট্রের অভিযোগ, ২০১১ সালে যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত সৌদি আরবের রাষ্ট্রদূতকে হত্যার জন্য একটি ক্যাফেতে হামলা চালিয়েছিলেন আবদুল রেজা শাহলাই। কিন্তু সেই পরিকল্পনা ব্যর্থ হওয়ায় বেঁচে যান সৌদি রাষ্ট্রদূত।
মার্কিন রাজস্ব বিভাগ বলেছে, ‘ওই হামলার জন্য অর্থনৈতিক সহায়তা জুগিয়েছিলেন আবদুল রেজা শাহলাই। হামলার জন্য লোক নিয়োগের বিষয়টিও তিনি দেখভাল করেছিলেন। হামলাকারীদের পারিশ্রমিক হিসেবে ৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার দেওয়া হবে বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন শাহলাই।’
তবে ইয়েমেনে কোনো গোপন হামলা চালানো হয়নি বলে দাবি করেছে মার্কিন প্রতিরক্ষা দপ্তর পেন্টাগন। পেন্টাগনের মুখপাত্র কমান্ডার রেবেকা রেবারিখ বলেছেন, মধ্যপ্রাচ্যের ওই অঞ্চলে কোনো হামলা চালানোর বিষয়ে মার্কিন প্রতিরক্ষা দপ্তর অবগত নয়।
গত শুক্রবার ইরাকের রাজধানী বাগদাদে বিমানবন্দরের বাইরে হামলা চালিয়ে ইরানি জেনারেল সোলাইমানিকে হত্যা করে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গত বৃহস্পতিবার বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাসসহ বেশ কয়েকটি দূতাবাস উড়িয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা করছিলেন বলে সোলাইমানিকে হত্যা করা হয়েছে।