ইরাক, ইরান এবং ইরান ও সৌদির মধ্যে থাকা জলসীমাসহ উপসাগরীয় অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্রের বিমান চলাচল নিষিদ্ধ করেছে দেশটির ফেডারেল এভিয়েশন কর্তৃপক্ষ। মঙ্গলবার মার্কিন সেনাসূত্র জানিয়েছে, তেহরান এক ডজনেরও বেশি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে ইরাকে অবস্থিত দুটি মার্কিন সামরিক ঘাটিতে। ফলে ওই অঞ্চলে যুদ্ধাবস্থা বিরাজ করছে। এফএএ বলেছে যে তারা ‘উচ্চতর সামরিক তৎপরতা এবং মধ্য প্রাচ্যের রাজনৈতিক উত্তেজনা বৃদ্ধির কারণে এ নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। এ খবর দিয়েছে আল-জাজিরা।
এদিকে, ইরানের ইমাম খোমেনি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে টেকঅফ করার পরে প্রযুক্তিগত সমস্যার কারণে ইউক্রেন আন্তর্জাতিক বিমান সংস্থার বোয়িং ৭৩৩৭ বিধ্বস্ত হয়েছে। এর ঠিক কিছুক্ষণ আগেই ওই নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে যুক্তরাষ্ট্র। ওই ঘটনায় নিহত হন ১৭৬ জন।
ফ্লাইটের্যাডর ২৪ তথ্য অনুসারে বেশ কয়েকটি ইউএস-মার্কিন বিমান সংস্থার ইরাক ও ইরানের কয়েকটি অংশে ফ্লাইট ছিল।
তারা সরাসরি এফএএ নিষেধাজ্ঞা মানতে বাধ্য নয়। তবে তারা এসব নিষেধাজ্ঞাকে আমলে নিয়ে থাকে যাতে কোনো ধরণের অনাকাঙ্খিত ঘটনা না ঘটে। দেশটির এয়ারলাইনসগুলো জানিয়েছে, তারা ইরান ও ইরাক উভয় দেশের আকাশপথে চলাচল বন্ধ করবে।
ইরাকের মার্কিন ঘাঁটিতে হামলার পরে সিঙ্গাপুর এয়ারলাইনস লিমিটেড জানিয়েছিল যে এর সমস্ত বিমান ইরানের আকাশসীমা থেকে সরিয়ে নেয়া হবে। দক্ষিণ কোরিয়ার বিমান সংস্থা কোরিয়ান এয়ারও জানিয়েছে, মার্কিন সেনার উপর হামলার আগেই তারা ইরানি ও ইরাকি আকাশসীমা এড়িয়ে চলেছিল।