ভারতীয় হাই কমিশন, ঢাকা বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির সহযোগিতায় মহাত্মা গান্ধীর ১৫০ শিল্পকর্ম প্রদর্শনীর আয়োজন করেছে। মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকে শুরু হওয়া ওই প্রদর্শনী চলবে আগামী ১৬ জানুয়ারি পর্যন্ত। ১০ দিনব্যাপী শিল্পকলা একাডেমির চারুকলা ভবনের ৪নং গ্যালারিতে অনুষ্ঠেয় ওই প্রদর্শনী প্রতিদিন সকাল ১১টা থেকে উন্মুক্ত হয়ে রাত ৮টায় শেষ হবে। ভারতীয় হাই কমিশনের সংবাদ বিজ্ঞপ্তি মতে, মঙ্গলবার মহাত্মা গান্ধীর প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পনের মাধ্যমে প্রদর্শনীর উদ্বোধন হয়। সংসদ সদস্য মির্জা আজম, সাংসদ জনাব এইচ. এম. ইব্রাহীম অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন। ওই দুই সংসদ সদস্যের এলাকায় নোয়াখালী ও জামালপুরে দু’টি গান্ধী আশ্রম রয়েছে। বিশিষ্ট গান্ধীবাদী চিন্তাবিদ সৈয়দ আবুল মকসুদ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে ভারতীয় ডেপুটি হাই কমিশনার বিশ্বদীপ দে এবং অন্যান্য অতিথিরা গান্ধী ১৫০ শিল্পকর্ম প্রদর্শনীতে অংশ নেয়া শিল্পীদের সম্মাননা জানান।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে দেয়া বক্তৃতায় ডেপুটি হাই কমিশনার বিশ্বদীপ দে অভ্যাগত অতিথিদের স্বাগত জানিয়ে বলেন- এই শিল্পকর্মগুলো কেবল দর্শকদের মুগ্ধই করবে না বরং গান্ধীজীর সাধারণ ও সত্যের প্রতি নিবেদিত জীবনের কথাও স্মরণ করিয়ে দেবে। প্রদর্শিত শিল্পকর্মগুলো গত ১২-১৫ ডিসেম্বর সিলেট বিভাগের শ্রীমঙ্গলে অনুষ্ঠিতআর্ট ক্যাম্পে তৈরি হয়। বাংলাদেশের ১৫ জন তরুণ শিল্পী এই ক্যাম্পে অংশগ্রহণ করেন এবং বাংলাদেশের বিখ্যাত শিল্পী ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের অধ্যাপক রোকেয়া সুলতানা আর্ট ক্যাম্পের উপদেষ্টা ছিলেন। অধ্যাপক রোকেয়া সুলতানার চিত্রকর্মও এই প্রদর্শনীর অংশ। এছাড়াও দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে শুরু করে ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের বিভিন্ন আন্দোলনে নেতৃত্ব দানকালে মহাত্মা গান্ধীর জীবনের বিভিন্ন পর্যায় ফুটে উঠেছে এই চিত্র প্রদর্শনীতে। উল্লেখ্য, গত ১১ই ডিসেম্বর হাই কমিশনার রীভা গাঙ্গুলি দাশ ঢাকাস্থ ভারতীয় হাই কমিশনে গান্ধীর ১৫০ আর্ট ক্যাম্প উদ্বোধন করেন। ডেপুটি হাই কমিশনার বিশ্বদীপ দে ১৪ই ডিসেম্বর ক্যাম্প পরিদর্শন করেন এবং শিল্পীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। শিল্পীরা সত্য, অহিংসা, ‘বসুধৈব কুটুম্বকম্ব সমগ্র বিশ্ব এক পরিবার’ ইত্যাদির মত গান্ধীজীর বিভিন্ন দর্শনকে ভাস্কর্য, চিত্রকর্ম, বাটিক, ধাতব ও কাঠের বিভিন্ন মাধ্যমে ফুটিয়ে তুলেছে।