শহিদ মিয়া (৪০) সৌদি আরবে টাইলস ফিটিংয়ের কাজ করতেন।কর্মস্থল থেকে ঘরে ফেরার পথে তাকে পুলিশ আটক করে। কাজের পোশাক পরণে ছিল। পায়ে ছিল টাইলস লাগানোর সিমেন্ট মাখানো জুতা। ওই অবস্থাতেই তাকে দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে।
শনিবার গভীর রাতে দেশে ফেরা শহিদ মিয়া আড়াই বছর আগে সাড়ে চার লাখ টাকা খরচ করে সৌদি আরবে গিয়েছিলেন। তার সঙ্গে দেশে ফিরেছেন আরও ১০৫ জন পুরুষ কর্মী। রোববার দুপুরে ফিরেছেন ১৫ নারী কর্মীসহ ৭০ জন। ১৪ ঘণ্টার ব্যবধানে সর্বমোট ১৭৬ জন ফিরেছেন সৌদি আরব থেকে। এ নিয়ে গত চার দিনে ফিরেছেন ৩১৭ জন। রোববার রাতেও ফেরার কথা ছিল শতাধিক কর্মীর। তবে কতজন ফিরছেন, তা রোববার রাত ১০টা পর্যন্ত নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
রোববার ফেরা ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সেলিনা আক্তার ও শামিমা বেগম গৃহকর্মী হিসেবে সৌদি আরব গিয়েছিলেন। তারা নিয়োগ কর্তার মারধরের শিকার হয়ে দেশে ফিরেছেন। প্রথমে তারা পালিয়ে আশ্রয় নেন জেদ্দায় বাংলাদেশ দূতাবাসের সেইফ হোমে। সেখান থেকে নারায়ণগঞ্জের সোনিয়া আক্তার ও খাদিজা, সিরাজগঞ্জের রাশেদাসহ ১৫ নারী ফিরেছেন।
মাত্র চার মাস আগে কুমিল্লার চান্দিনার হানিফ সৌদি গিয়েছিলেন। তার তিন মাসের এন্ট্রি ভিসার মেয়াদ শেষ হলে নিয়োগকারী আকামা তৈরি করেনি। কর্মস্থল থেকে ফেরার পথে তাকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে। মালিক দায়িত্ব না নেওয়ায় হানিফকে দেশে ফেরত পাঠানো হয়। দেশে ফেরা কর্মীদের অনেকের অভিযোগ, তারা টাকা দিলেও নিয়োগকারী আকামা তৈরি করে দেয়নি। গ্রেপ্তার হওয়ার পর যোগাযোগ করলেও দায়দায়িত্ব নেয়নি।
ব্র্যাকের অভিবাসন কর্মসূচির প্রধান শরিফুল হাসান জানান, ২০১৯ সালে সৌদি আরব থেকে ২৪ হাজার ২৮১ জন বাংলাদেশি ফেরত এসেছে। নতুন বছরের শুরুর চার দিনে ফিরলেন ৩১৭ জন। ভবিষ্যতে কেউ যেন এভাবে শূন্যহাতে না ফেরেন, সেজন্য পদক্ষেপ নেওয়া উচিত সরকারের।