রিবেল মনোয়ার
আমি মনে করি পৃথিবীর প্রতিটি মানুষিই মহান এক সম্পদ। অফুরন্ত সম্ভাবনার সম্পদ। তাকে তার মতো করে এগিয়ে যেতে দিতে হবে।
আমাদের পাশে যারা থাকেন তারা সবাই একেকজন অসাধারণ মানুষ। আমরা মানুষের ভালো দিকগুলো তখনই দেখতে পাই যথন ইতিবাচকভাবে বিবেচনা করি। প্রতিটি মানুষের অসীম সম্ভাবনা বিকশিত হতে পারে যদি সেটা যথাযথ সমর্থন পায়। আর যারা কাজ করেন তারাই সমালোচিত হন, অলস লোকরাই নিজে কাজ না করে কর্মঠ মানুষের সমালোচনায় ব্যস্ত থাকেন। সংগঠন হিসেবেও অনেক সমালোচনা সহ্য করে এগিয়ে যেতে হয়।
শুভ জন্মদিন এ কে এম রিপন আনসারী। আমাদের হুদয়গুলো পূর্ণ হোক ভালোবাসায়, শ্রদ্ধায়, স্নেহে ও আবেগে। মানুষ হিসেবে আমরা ইতিবাচক চর্চা করি। নিজে আলোকিত মানুষ হই, অপরকে আলোকিত করি।
একজন লেখক, কবি, সাহিত্যিক, সাংবাদিক, সংগঠক, উদ্যোক্তা ও সৃষ্টিশীল মানুষ সমাজকে আলোকিত করেন। গাজিপুর জেলার এমনই একজন মানুষ একেএম রিপন আনসারী। সাংবাদিক ও সংগঠক হিসেবে তিনি পরিচিত। এর বাইরে আমি দেখিছি তিনি একজন আবেগী মানুষ ও পড়ুয়া মানুষ। তিনি সব ধরনের বই পড়েন। নিজে এখনও শেখার চেষ্টা করেন। মানুষকে বিমুখ করেন না, মানুষের পাশে থাকেন।
দৈনিক খবরপত্রের সম্পাদক প্রখ্যাত সাংবাদিক গিয়াস কামাল চৌধুরীর অত্যন্ত স্নেহভাজন রিপন আনসারী সাংবাদিকতার শুরু করেছিলেন ১৯৯৭ সালে। এখনো পেশার ধারবাহিকতা রক্ষার পাশাপাশি দেশ ও সমাজের জন্য কাজ করছেন। বর্তমানে রিপন আনসারী বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কমের স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, ২০০২ সাল থেকে দৈনিক খবরপত্রের গাজিপুর ব্যুরো চিফ, গাজিপুর কে প্রকাশিত দৈনিক জনসংবাদ পত্রিকার নির্বাহী সম্পাদক। সংগঠক হিসেবে ২০০৯ সাল থেকে গাজিপুর জেলা প্রেসক্লাবের সেক্রেটারী।
২০০০ সাল থেকে ভাওয়ালগড় বাঁচাও আন্দোলনের প্রতিষ্ঠাতা মহাসচিব , এই সংগঠনটির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা এস এম মুজিবুর রহমান। বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কমে আমরা দুজনেই কাজ করার সময় তার সাথে পরিচয় এরপর আমি অন্য মিডিয়াতে চলে গেলেও সম্পর্ক অটুট থাকে। বাংলানিউজে একসাথে অনেক নিউজ কাভার করেছি।
সামাজিক ও পরিবেশবাদী সংগঠন ‘ভাওয়াল গড় বাঁচাও আন্দোলন’ এর ব্যানারে বিভিন্ন আন্দোলনে আমিও অংশ নিয়েছি। তখন দেখেছি রিপন আনসারী সাহসী ভুমিকা নিয়ে বড় বড় শক্তির বিরুদ্ধে দাড়িয়েছেন। আমি তাকে সতর্ক করলেও তিনি বলেছেন, রিবেল ভাই আমি জীবনের ভয় করিনা। রিপন আনসারী আমার চেয়ে বয়স অভিজ্ঞতা ও যোগ্যতায় বড় হলেও তিনি সবসময় বিনয়ী মানুষ হিসেবে আমাকে ভাই বলে সম্বোধন করেন।
রিপন আনসারী গাজিপুরের এক সম্ভ্রান্ত ও ধনাঢ়্য পরিবারের সন্তান। তার পিতা বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর “ইলেক্ট্রিক্যাল এবং মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার্স কোর” (ইএমই কোর) এর মেজর ছিলেন। রিপন আনসারী আইন নিয়ে পড়াশোনা করেছেন। তার বড় ভাই অ্যাডভোকেট এ কে এম আবদুল হাই জর্জকোটের সিনিয়র আইনজীবি । ছোটভাই একজন বিসিএস অফিসার। এক মেয়ে আর এক ছেলে নিয়ে সুখী পরিবার রিপন আনসারীর।
একজন শিক্ষানবীশ সাংবাদিক হিসেবে ১৯৯৭ সালে রিপন আনসারী পুরান ঢাকার একটি সাহিত্য পত্রিকায় কাজ শুরু করেন। মাসিক আকাশ নামের সেই সাহিত্য পত্রিকার সম্পাদক ছিলেন কবি আব্দুস সামাদ। নিজেও একজন ভালো লেখক। অনেকটা উদাসী প্রকৃতির লেখক। গাজিপুরের ভাওয়াল অঞ্চলের অনেক মানুষই একটু উদাস ও কবি প্রকৃতির বলে আমার মনে হয়েছে। স্থানীয় দৈনিক গণমুখ পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টার ছিলেন ১৯৯৭ সাল থেকে ২০০৫ অবধি। ক্রমান্বয়ে তার কাজের পরিধি বেড়েছে।
একজন সাংবাদিক ও সংগঠনের পাশাপাশি আইন পেশা ও মানবাধিকার নিয়েও রিপন আনসারী সক্রিয়। জাতীয় মানবাধিকার কাউন্সিল গাজিপুর জেলার সেক্রেটারী ২০১০ থেকে দায়িত্ব পালন করছেন। অনলাইন প্রেসক্লাব বাংলাদেশের সভাপতি হিসেবে সম্প্রতি তিনি দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন।
রিপন আনসারী স্যোসাল মিডিয়াতেও বেশ সক্রিয়। তিনি আজ সকালে লিখেছেন- এই দিনে আমার প্রত্যাশা, যারা আঘাত করে আনন্দ উল্লাস করে ভালবাসা দিয়ে যেন প্রতিশোধ নিতে পারি। প্রতিশোধের এই বিধান যেন চিরায়ত হয়। এক সেকেন্ডের ভরসাহীন দুনিয়ায় আঘাত যেন হাস্যরসের ভালবাসায় সিক্ত হয়ে বাতাসে মিশে যায়। যারা মানুষ হয়ে মানুষের মৃত্যু কামনা করে আমি তাদের দীর্ঘায়ু কামনা করি।
আমি ফুলের বাগান। ফুল থাকুক বা নাই থাকুক। গন্ধ আছে বা নেই জানিনা। আছে মনে করে যে কেউ গন্ধও শুকতে পারেন। আবার বাগানে আনন্দ করেও যেতে পারেন। চাইলে বাগানে বসে কবিতাও লিখতে পারেন। আবার যে কেউ আমার বাগানের ফুলও ছিঁড়তে পারেন। গাছটিও কাটতে পারেন। বাগান কিছু বলে না। কারণ বাগান কথা বলতে জানে না। তাই বলতে পারে না।
সকলে ভাল থাকবেন। সকলের প্রতি রইল আমার মত নগন্য মানুষের ক্ষুদ্র হৃদয়ের উচ্ছসিত ও উল্লসিত বাঁধভাঙ্গা ভালবাসা। আমি দোয়া করি সকলের জন্য। সকলেই দোয়া করবেন আমার জন্য। আমরা সকলেই যেন ভাল থাকি।