খ্রিষ্টীয় নববর্ষকে বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির বছরে পরিণত করতে চায় ছাত্রদলের সাবেক নেতারা। বুধবার রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের ৪১ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত সমাবেশে সাবেক ছাত্রনেতারা এই প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন।
সমাবেশে বক্তব্য রাখতে গিয়ে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও সাবেক ছাত্রদল সভাপতি শামসুজ্জামান দুদু বলেছেন, ২০২০ সাল যদি পরিবর্তনের বছর হয়, তাহলে ছাত্রদলকে দায়িত্ব নিতে হবে। এই সাল যেন হয় খালেদা জিয়ার মুক্তির বছর। গণতন্ত্র ও স্বাধীনতার মুক্তির বছর। এই সাল যেন হয় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে বাংলাদেশে ফিরিয়ে আনার বছর।
ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদের সভাপতি ফজলুর রহমান খোকন এর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন শ্যামল এর সঞ্চালনায় সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান, নির্বাহী কমিটির সদস্য নাজিম উদ্দিন আলম, বিএনপির প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, যুবদলের সাধারণ সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি শফিউল বারী বাবু, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদের ভূঁইয়া জুয়েল, ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি আকরামুল হক, ছাত্রদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবণ, সাংগঠনিক সম্পাদক সাইফ মাহমুদ জুয়েলসহ কেন্দ্রীয় নেতা এবং বিভিন্ন ইউনিটের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত রয়েছেন।
ছাত্রদলের সাবেক নেতৃবৃন্দ মনে করেন, একমাত্র রাজপথে কঠোর আন্দোলনের মাধ্যমেই বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করা ও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করা সম্ভব।
ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদের সাবেক সভাপতি ফজলুল হক মিলন বলেন, আমরা মুখ দেখাতে পারি না কথাটা ঠিক না। বলতে পারেন, আমরা মাথানত করি নাই। এই সরকার মাথা নত করেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এখনো প্যারোলে মুক্তি নিয়ে আছেন। আমাদের নেত্রী কিন্তু প্যারোলে যান নাই।
ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নাজিম উদ্দীন আলম বলেন, আমরা আমাদের কমিটম্যান্ট রাখতে পারিনি। আজকে মানুষ ছাত্রদল নিয়ে হাসাহাসি করে, বিএনপি নিয়ে হাসে। কারণ আমরা আমাদের নেত্রীকে মুক্তি করতে পারি নাই। মুখে অনেক কথাই বলি তা বাস্তবে পরিণত করতে হবে। অনান্য দল আইন ভেঙে মিছিল সমাবেশ করতে পারে। বিএনপির জন্য কেন এতো আইন, এই আইন ভাঙতে হবে।
ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদের সাবেক আরেক সাধারণ সম্পাদক আমিরুল ইসলাম খান আলীম বলেন, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া জেলে যাওয়ার আগে আমরা একটা স্লোগান দিয়েছি, আমার নেত্রী আমার মা, জেলে যেতে দিবো না। কিন্তু আমরা আমাদের সেই শ্লোগানের সামান্য পরিমাণ কার্যকর করতে ব্যর্থ হয়েছি। আবার নেত্রী জেলে যাওয়ার পরে আমরা নতুন করে শুরু স্লোগান দিচ্ছি, আমার নেত্রী আমার মা, বন্দী থাকতে দিবো না। আমরা এই স্লোগান এর মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকছি। নেত্রীকে মুক্ত করতে কার্যকর কোনো কর্মসূচি পালন করছি না।
তিনি বলেন, আমার মা আমাকে জন্ম দিয়েছেন আর রাজনৈতিক অঙ্গনে আমাকে জন্ম দিয়েছেন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া। তিনি আমাকে রাজনৈতিকভাবে পরিচয় দিয়েছেন যার কারণে আজকে আমি এখানে বক্তৃতা দিতে পারছি। এখানে আমরা আজকে যারা বক্তৃতা দিচ্ছি সবাইকে রাজনৈতিক পরিচয় দান করেছেন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া। আজ দীর্ঘ দুই বছর যাবত আমাদের সেই মাতৃতুল্য নেত্রী জেলখানায় বন্দি। আমাদের উচিত ছিল নেত্রীকে মুক্ত করার জন্য রাজপথে কঠোর কর্মসূচি পালন করা।