গত বছরে ৩০শে ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ‘গণতন্ত্র হত্যা দিবস’ আখ্যা দিয়ে ‘গণতন্ত্র উদ্ধার আন্দোলন’ মঞ্চের ব্যনারে সমাবেশ করছেন কয়েকটি বিরোধী দলের নেতারা। সোমবার রাজধানীর মৎস্যভবনের সামনে ট্রাকের উপর মঞ্চ বানিয়ে এ সমাবেশ করেন তারা। এই মঞ্চ থেকে নতুন করে সরকার পতনের জন্য জনগণকে প্রস্তুত হওয়ার আহবান জানিয়েছেন বক্তারা। বিএনপি ছাড়াও বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা সমাবেশে অংশ নেন।
সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেএসডির সভাপতি আ স ম রব বলেন, এই সরকার লুটপাট করে দেশটাকে শেষ করে দিয়েছে। এতো কিছুর পরেও তারা বলে আমরা লুটপাট করি না। এতো সুন্দর করে বলে যে, শুনলে হাসি পায়। তাদের বক্তব্য শুনলে ক্লাশ ওয়ানের বাচ্চারাও টেলিভিশন বন্ধ করে দেয়। পৃথিবীর সব জায়গায় ভোট চুরি হয়েছে।
কিন্তু বাংলাদেশে ভোট ডাকাতি হয়েছে। সারা পৃথিবীতে ভোট হয় দিনের বেলা। আর বাংলাদেশে ভোট নিয়ে গেছে রাতের বেলা। দুনিয়ার সব জায়গায় ভোটের দিন ভোট হয় আর বাংলাদেশে ২৪ ঘণ্টা আগেই ভোট হয়।
সরকারকে পদত্যাগ করার জন্য প্রস্তুত হওয়ার আহবান জানিয়ে রব বলেন, আপনারাতো যাবেনই। তবে ভদ্রভাবে যাবেন না অভদ্রভাবে যাবেন সেটা ডিসাইড করেন। আপনাকে যেতে হবে। আপনাদের আর থাকার কোন সুযোগ নাই। সব রাস্তা বন্ধ হয়ে হেছে। তবে কিভাবে যাবেন সেটার সিদ্ধান্ত নেন। সভাপতির বক্তব্যে নাগরিক ঐক্যের আহবায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, একটু হিসাব করেই মাঠে নামছি আমরা। আমি কারো নামে সালোচনা করি না, কে কতো বড় নেতা, কে কোন দলে, আমি এগুলো বলি না। আমি শুধু এটুকুই বলতে চাই সারাদেশের মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করার জন্য যেটুকু কাজ সেটাই করতে হবে। আপনারা সবাই তৈরী থাকেন যেকোন সময় এই সরকারের পতনের জন্য মাঠে নামতে হবে। যেকোন সময় আমরা এই সরকারের পতনের আন্দোলনের কর্মসূচি দেব। প্রতিজ্ঞা একটাই। আমরা আন্দোলন করব। আজ থেকে আমাদের এই আন্দোলন শুরু। আজ থেকেই লড়াই শুরু। এই লড়াই চলবে যতক্ষণ পর্যন্ত না বিজয় অর্জিত হচ্ছে।
সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন, জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের সভাপতি নূর হোসেন কাসেমী, বিএনপি চেয়াপারসনের উপদেষ্টা এডভোকেট ফজলুর রহমান, শওকত মাহমদু, আলোকচিত্রী শহিদুল আলম প্রমূখ।