ঢাকা: আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটি থেকে শেষ পর্যন্ত বাদ পড়লেন ৯ মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী ও উপমন্ত্রী। তাদের বাদ রেখেই দলের পূর্ণাঙ্গ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের বাকি নেতাদের নাম ঘোষণা করা হয়েছে। দল ও সরকারকে আলাদা করতেই প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা এমন পদক্ষেপ নিয়েছেন বলে আলোচনা রয়েছে।
অবশ্য ক্ষমতাসীন দলের ৮১ সদস্যের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সাতটি পদে এখনও কারও নাম ঘোষণা করা হয়নি। তবে এতে মন্ত্রিসভার বাদ পড়া সদস্যদের অন্তর্ভুক্তির কোনো সম্ভাবনা নেই বলেই দলীয় সূত্রগুলো নিশ্চিত করেছে। কেননা আগের কমিটিতে তারা যেসব পদে ছিলেন, সেসব পদের আগে-পরে নতুন মুখ আনা হয়েছে। তাই ফাঁকা পদগুলো গুরুত্বের বিবেচনায় একেবারেই গৌণ।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে নতুন কেন্দ্রীয় কমিটি ঘোষণা করেন দলের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। দলের জাতীয় সম্মেলনে ঘোষিত কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের ৪২ নেতার নামের সঙ্গে নতুন করে ৩২ জন যুক্ত হয়েছেন গতকাল। এ নিয়ে দুই দফায় ৭৪ জনের নাম ঘোষণা করা হলো।
একজন সাংগঠনিক সম্পাদকের নাম এখনও ঘোষণা হয়নি। আগে পাঁচজনের নাম ঘোষণা হয়েছিল। তারা হলেন- আহমদ হোসেন, বিএম মোজাম্মেল হক, আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, এস এম কামাল হোসেন ও মির্জা আজম। এখন দু’জন মিলিয়ে সাতজনের নাম ঘোষণা হলো। ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার নির্দেশে এই কমিটি ঘোষণা করছেন তিনি।
পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণার আগে থেকেই শোনা যাচ্ছিল যে, আগের কমিটিতে থাকা তিনজন মন্ত্রী, চারজন প্রতিমন্ত্রী ও দু’জন উপমন্ত্রী বাদ পড়তে যাচ্ছেন। গতকাল ঘোষিত পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে সেটাই দেখা যায়। বাদ পড়া মন্ত্রিসভার এই সদস্যরা হচ্ছেন শিল্পমন্ত্রী অ্যাডভোকেট নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন, বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশী, গণপূর্তমন্ত্রী অ্যাডভোকেট শ ম রেজাউল করিম, শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মন্নুজান সুফিয়ান, নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, ধর্ম প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট শেখ মোহাম্মদ আবদুল্লাহ, মহিলা ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা, পানিসম্পদ উপমন্ত্রী এ কে এম এনামুল হক শামীম এবং শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল। তাদের মধ্যে কেউ কেউ আগের কমিটির যে পদে ছিলেন, জাতীয় সম্মেলনেই সেসব পদে নতুন মুখ আনা হয়। বাকিদের পুরোনো পদেও নতুন মুখ এলো।
অবশ্য চারজন মন্ত্রী ও একজন প্রতিমন্ত্রী জাতীয় সম্মেলনেই কেন্দ্রীয় কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত হন। এর মধ্যে তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ পদোন্নতি পেয়ে দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হন। তিনি বিদায়ী কমিটির প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ছিলেন। নতুন কার্যনির্বাহী সংসদে আরও থেকে যান- দলের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক এবং যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
এখনও নাম ঘোষণার বাকি রয়েছে সাংগঠনিক সম্পাদকের একটি পদ, কোষাধ্যক্ষ, শিল্প ও বাণিজ্য সম্পাদক, ধর্মবিষয়ক সম্পাদক এবং তিনটি কার্যনির্বাহী সদস্য পদে। এই সাতটি পদে মনোনীতদের নাম পরে ঘোষণা করা হবে।
আওয়ামী লীগের জাতীয় সম্মেলনের শেষ দিনে গত শনিবার কাউন্সিলরদের সর্বসম্মত সমর্থনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা টানা নবমবারের মতো দলের সভাপতি এবং সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের দ্বিতীয়বারের মতো সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। পরে কাউন্সিলরদের সমর্থন নিয়ে কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের আরও ৪০ জন, ৫১ সদস্যের উপদেষ্টা পরিষদের ৪৪ জন এবং দলের সংসদীয় বোর্ডের ১১ জনের মধ্যে ৯ জনের নাম ঘোষণা করা হয়েছে। এ ছাড়া স্থানীয় সরকার মনোনয়ন বোর্ডের ১৯ সদস্যের মধ্যে ১৭ জনের নামও ঘোষণা করেন শেখ হাসিনা।
গত মঙ্গলবার দলের নবনির্বাচিত সভাপতিমণ্ডলীর প্রথম বৈঠকে বৃহস্পতিবার দলের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সে অনুযায়ী গতকাল সন্ধ্যায় গণভবনে ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে অনানুষ্ঠানিক বৈঠক করে পূর্ণাঙ্গ কমিটি চূড়ান্ত করে দেন দলীয়প্রধান শেখ হাসিনা। এর পরই ধানমন্ডির কার্যালয়ে ফিরে রাত সাড়ে ৯টায় সংবাদ সম্মেলনে তা ঘোষণা করেন ওবায়দুল কাদের।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া প্রমুখ।
দলের নেতারা জানিয়েছেন, আগে থেকেই পূর্ণাঙ্গ কমিটির খসড়া করে রেখেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। সভাপতিমণ্ডলীর বৈঠকে খসড়া তালিকায় থাকা বেশিরভাগ নেতার নামও জানিয়েছিলেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী গতকাল যশোরে রাষ্ট্রপতির কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে যোগদান শেষে ঢাকা ফেরার পর সন্ধ্যায় গণভবনে যান ওবায়দুল কাদের। সেখানে খসড়া তালিকায় কিছু সংযোজন-বিয়োজনের পর পূর্ণাঙ্গ কমিটি চূড়ান্ত করেন শেখ হাসিনা।
পদোন্নতি ও নতুন মুখ :আগের কমিটির তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক অ্যাডভোকেট আফজাল হোসেন পদোন্নতি পেয়ে নতুন কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক পদে এসেছেন। নতুন আরেকজনকে সাংগঠনিক সম্পাদক পদে আনা হয়েছে। তিনি হচ্ছেন শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল। সিলেট বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থার সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) পরিচালক নাদেল সিলেটের রাজনীতিতে পরিচিত মুখ হলেও এবারই প্রথম জাতীয় রাজনীতিতে জায়গা পেলেন। সাংগঠনিক সম্পাদকের একটি পদ পরে ঘোষণা করা হবে।
নতুন মুখ হিসেবে আরও যারা কেন্দ্রীয় কমিটির সম্পাদকমণ্ডলীতে স্থান পেয়েছেন তারা হচ্ছেন অর্থ ও পরিকল্পনা সম্পাদক পদে ওয়াসিকা আয়শা খান, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক ড. সেলিম মাহবুব এবং উপ-দপ্তর সম্পাদক পদে সায়েম খান। ওয়াসিকা খান চট্টগ্রামের প্রয়াত আওয়ামী লীগ নেতা আতাউর রহমান কায়সারের মেয়ে। তিনি সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য। আগের কমিটিতে থাকা সম্পাদকীয় পদগুলোর মধ্যে শ্রম ও জনশক্তি সম্পাদক হাবিবুর রহমান সিরাজ ও উপ-প্রচার সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন স্বপদে বহাল রয়েছেন।
কার্যনির্বাহী সংসদের ২৮ সদস্যের মধ্যে গতকাল ২৫ জনের নাম ঘোষণা করা হয়েছে। নতুন মুখ হিসেবে দলের সাবেক স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা সম্পাদক ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, খ ম জাহাঙ্গীর হোসাইন, আখতার জাহান, হবিগঞ্জের ডা. মুশফিকুর রহমান, হুসনে আরা লুৎফা ডালিয়া, অ্যাডভোকেট সফুরা খাতুন, অ্যাডভোকেট সানজিদা খানম, হাসান আনিসুর রহমান, শাহাবুদ্দিন ফরাজি ও গ্লোরিয়া সরকার ঝর্ণা কার্যনির্বাহী সংসদ সদস্য পদে এসেছেন। আর পুরোনো কমিটিতে থাকা আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ, মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীরবিক্রম, অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, নুরুল ইসলাম ঠান্ডু, বদর উদ্দিন আহমদ কামরান, দীপংকর তালুকদার, অ্যাডভোকেট আমিরুল আলম মিলন, অ্যাডভোকেট এ বি এম রিয়াজুল কবির কাওছার, মেরিনা জামান কবিতা, পারভীন জামান কল্পনা, আনোয়ার হোসেন, ইকবাল হোসেন অপু, গোলাম রব্বানি চিনু, মারুফা আক্তার পপি ও উপাধ্যক্ষ রেমন্ড আরেং স্বপদে বহাল রয়েছেন।
কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদে ৭৪ জন :সভাপতি শেখ হাসিনা, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী, মতিয়া চৌধুরী, শেখ ফজলুল করিম সেলিম, মোহাম্মদ নাসিম, কাজী জাফর উল্লাহ, অ্যাডভোকেট সাহারা খাতুন, নুরুল ইসলাম নাহিদ, ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, পীযূষ কান্তি ভট্টাচার্য্য, ড. আব্দুর রাজ্জাক, লে. কর্নেল (অব.) ফারুক খান, রমেশ চন্দ্র সেন, অ্যাডভোকেট আবদুল মান্নান খান, অ্যাডভোকেট আবদুল মতিন খসরু, শাজাহান খান, অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক, আবদুর রহমান; সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল-আলম হানিফ, ডা. দীপু মনি, ড. হাছান মাহমুদ ও আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, অর্থ ও পরিকল্পনা সম্পাদক ওয়াসিকা আয়শা খান, আন্তর্জাতিক সম্পাদক ড. শাম্মী আহমেদ, আইন সম্পাদক অ্যাডভোকেট কাজী নজিবুল্লাহ হীরু, কৃষি ও সমবায় সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলী, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক ড. সেলিম মাহবুব, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ূয়া, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. আবদুস সোবহান গোলাপ, বন ও পরিবেশ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক প্রকৌশলী আবদুস সবুর, মহিলা সম্পাদক মেহের আফরোজ চুমকি, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস, যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক হারুনুর রশীদ, শিক্ষা ও মানবসম্পদ সম্পাদক শামসুন নাহার চাঁপা, সাংস্কৃতিক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা সম্পাদক ডা. রোকেয়া সুলতানা, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, বি এম মোজাম্মেল হক, আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, এস এম কামাল হোসেন, মির্জা আজম, অ্যাডভোকেট আফজাল হোসেন ও শফিউল আলম চৌধূরী নাদেল, উপ-প্রচার সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান এবং কার্যনির্বাহী সংসদ সদস্য আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ, মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, খ ম জাহাঙ্গীর হোসাইন, নুরুল ইসলাম ঠাণ্ডু, বদরুদ্দিন কামরান, দীপংকর তালুকদার, অ্যাডভোকেট আমিনুল আলম মিলন, আখতার জাহান, ডা. মুশফিক, অ্যাডভোকেট রিয়াজুল কবির কাওসার, মেরিনা জামান কবিতা, পারভেজ জামান, হুসনে আরা লুৎফা ডালিয়া, অ্যাডভোকেট সফুরা খাতুন, অ্যাডভোকেট সানজিদা খানম, আনোয়ার হোসেন, হাসান আনিসুর রহমান, শাহাবুদ্দিন ফরাজি, ইকবাল হোসেন অপু, গোলাম রব্বানি চিনু, মারুফা আক্তার পপি, উপাধ্যক্ষ রেমন্ড আরেং ও গ্লোরিয়া সরকার ঝর্ণা।
টুঙ্গিপাড়ায় নয়, প্রথম যৌথ সভা বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে :এর আগে আওয়ামী লীগের নতুন সভাপতিমণ্ডলীর প্রথম বৈঠক শেষে ওবায়দুল কাদের জানিয়েছিলেন, আগামী ৩ জানুয়ারি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা জানাবে আওয়ামী লীগের নবনির্বাচিত কমিটি। ওইদিন টুঙ্গিপাড়ায় দলের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদ ও উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যদের নিয়ে প্রথম যৌথ সভা অনুষ্ঠিত হবে।
তবে গতকাল সংবাদ সম্মেলনে ওবায়দুল কাদের জানান, শৈত্যপ্রবাহ ও বিরূপ আবহওয়ার কারণে যৌথ সভাটি টুঙ্গিপাড়ায় হচ্ছে না। তবে যৌথ সভার তারিখ ঠিক থাকছে। ৩ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউর আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হবে এই যৌথ সভা।
গতকাল রাতে দলের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, ৩ জানুয়ারি সকাল ৭টায় আওয়ামী লীগ নবনির্বাচিত কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদ ও উপদেষ্টা পরিষদ সদস্যরা ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের বঙ্গবন্ধু ভবন প্রাঙ্গণ থেকে সড়কপথে টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতার সমাধিস্থলে শ্রদ্ধা নিবেদনের উদ্দেশে যাত্রা করবেন। সেখানে পৌঁছানোর পর কেন্দ্রীয় নেতারা বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ, দোয়া ও মিলাদ মাহফিলে অংশগ্রহণ শেষে বিকেলে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হবেন।