সৌদি লেখক ও সাংবাদিক জামাল খাশোগিকে হত্যার অপরাধে পাঁচ ব্যক্তিকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে দেশটির এক আদালত। কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে আরো তিন জনকে। গত বছর তুরস্কের ইস্তাম্বুলে এক সৌদি কনস্যুলেটে খাশোগিকে খুন করে সৌদি এজেন্টদের একটি দল। খাশোগি যুক্তরাষ্ট্রে স্বেচ্ছা নির্বাসনে ছিলেন। নিজের বিয়ের জন্য কাগজপত্র আনতে গিয়েছিলেন তুরস্কে। সেখানেই প্রাণ হারান সৌদি সরকারের অন্যতম এই সমালোচক। আজ অবধি তার লাশ খুঁজে পাওয়া যায়নি। এ খবর দিয়েছে বিবিসি।
খাশোগি হত্যাকাণ্ড নিয়ে সৌদি প্রসিকিউটর জানিয়েছেন, সৌদি এজেন্টদের একটি দল নিজ থেকে খাশোগিকে হত্যা করে।
এই হত্যাকাণ্ডে ১১ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়। জাতিসংঘের বিশেষ র্যাপোর্টার আগ্নেস ক্যালামার্ড খাশোগির হত্যাকান্ডকে, বিচারবহির্ভ’ত খুন হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। এ হত্যাকাণ্ডে সৌদি ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানের বিরুদ্ধে তদন্ত করার আহ্বান জানিয়েছেন। উল্লেখ্য, খাশোগির হত্যাকাণ্ডে ক্রাউন প্রিন্স জড়িত ছিলেন বলে অভিযোগ তুলেছে তুরস্কের গোয়েন্দারা। যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থাও (সিআইএ) তার জড়িত থাকার উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। তবে সৌদি সরকার হত্যাকা-ের সঙ্গে ক্রাউন প্রিন্সের কোনো স¤পৃক্ততার কথা অস্বীকার করেছে। সালমান নিজেও দাবি করেছেন, খাশোগির হত্যাকা- সম্পর্কে তিনি অবহিত ছিলেন না। তবে অক্টোবরে এক বিবৃতিতে, হত্যাকাণ্ডটির সকল দায়বদ্ধতা নেয়ার কথা জানান তিনি। কেননা, সৌদি সরকারের হয়ে কাজ করা এজেন্টরাই এই হত্যাকা- চালিয়েছে। আরো উল্লেখ্য যে, খাশোগির হত্যাকাণ্ডের পরপরই সৌদি আরবের দিকে অভিযোগ ওঠে। কিন্তু প্রথমদিকে তার হত্যার কথা স্বীকার করেনি সৌদি কর্তৃপক্ষ। কিন্তু পরবর্তীতে আন্তর্জাতিক চাপের মুখে স¤পৃক্ততার কথা স্বীকার করতে বাধ্য হয় তারা।
খাশোগির হত্যাকাণ্ডে সৌদির বিচারকার্য নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অনেকেই। পুরো প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন হয়েছে বন্ধ দরজার পেছনে। মানা হয়নি আন্তর্জাতিক মানদণ্ড। মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস ওয়াচ বলেছে, সৌদি কর্তৃপক্ষ বিচারকার্যে অর্থবহ দায়বদ্ধতা আদায়ের প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করেছে।