আওয়ামী লীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা হতে পারে আগামীকাল মঙ্গলবার। গত শুক্র ও শনিবার অনুষ্ঠিত ২১তম জাতীয় কাউন্সিলের শেষ দিনে শেখ হাসিনা সভাপতি ও ওবায়দুল কাদের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে পুনরায় দায়িত্ব পান। রেকর্ড নবম বারের মতো দলের সভাপতির দায়িত্ব নিয়ে শেখ হাসিনা আংশিক কমিটি ঘোষণা করে তা কাউন্সিলে অনুমোদন নেন। কমিটির শুন্য পদ পূরণে কাউন্সিলররা দলীয় সভাপতিকে দায়িত্ব দিয়েছেন। মঙ্গলবার এ কমিটি প্রকাশ হবে বলে গতকাল জানিয়েছেন সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, ওইদিন প্রেসিডিয়ামের মিটিং আছে। সেদিন পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হবে বলে আশা করছি। এটি না হওয়া পর্যন্ত নতুন কমিটি নিয়ে মূল্যায়ন করা সম্ভব নয়।
সচিবালয়ে নিজ মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। টানা দ্বিতীয়বারের মতো আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে মনোনীত করায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, শেখ হাসিনা আমাকে যোগ্য মনে করেছেন বলেই দ্বিতীয়বারের মতো এই পদে মনোনীত করেছেন। উনি আমাকে যে মর্যাদা দিয়েছেন আমি তা রক্ষার চেষ্টা করবো। ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগের সামনের পথ খুব চ্যালেঞ্জিং। সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ নির্বাচনের অঙ্গীকার রক্ষা করা। সারাদেশে নতুন কমিটি কাজ শুরু করেছে। বিতর্কিতরা যাতে প্রবেশ করতে না পারে তা প্রতিরোধ করা একটি বড় চ্যালেঞ্জ। মন্ত্রণালয়ের কাজের মধ্যে সড়কের শৃঙ্খলা ফেরানো একটি বড় চ্যালেঞ্জ। এটি আমি করবোই। মন্ত্রণালয়ের পদ্মা সেতুসহ অগ্রাধিকার ভিত্তিতে যে সমস্ত প্রকল্প রয়েছে সেই প্রকল্পগুলোর কাজ এগিয়ে নিয়ে যাওয়া ও সময়মতো শেষ করাও একটি বড় চ্যালেঞ্জ। দল ও মন্ত্রণালয়ের কাজ একসঙ্গে করতে কোনো সমস্যা হয় কিনা জানতে চাইলে ওবায়দুল কাদের বলেন, দল এবং মন্ত্রণালয়ের কাজ একসঙ্গে করতে আমার কোনো সমস্যা হয় না। আমি রাস্তা দেখতে গিয়ে দলের কাজ করি। ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, এর আগে কোনো বিশৃঙ্খলা ছাড়া এত বড় সম্মেলন হয়নি। আমাদের এটি একটি সফলতা।
আমি ছাড়া এই পদের জন্য আরও অনেক যোগ্য প্রার্থী ছিলেন। কিন্তু সুস্থ প্রতিযোগিতা ছিল বলে কোনো সমস্যা হয়নি। কমিটিতে শাজাহান খানকে নেয়া প্রসঙ্গে সাংবাদিকরা জানতে চাইলে সেতুমন্ত্রী বলেন, পার্টির নতুন নেতৃত্ব ঢেলে সাজানো হয়েছে। কাউন্সিলরদের সঙ্গে সভাপতি নিজে আলোচনা করেছেন গঠনতন্ত্র সংশোধনের জন্য। কমিটিতে শাজাহান খানকে নেয়া হয়েছে তা দলের সিদ্ধান্ত। বঙ্গবন্ধু পরিবারের অন্য কেউ রাজনীতিতে আসবেন কিনা এমন প্রশ্নে ওবায়দুল কাদের বলেন, তারা স্বেচ্ছায় রাজনীতিতে আসতে চান না।