দেশের সকল বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে সব আশা আকাঙ্খার কেন্দ্রস্থল উল্লেখ করে মো. প্রেসিডেন্ট আবদুল হামিদ বলেছেন, বিশ্ববিদ্যালয়গুলো সব আশা আকাঙ্খার কেন্দ্রস্থল। বিশ্ববিদ্যালয়ের সাফল্য অর্জন জাতিকে যেমন অনুপ্রাণিত করে, তেমনি বিশ্ববিদ্যালয়ের অপ্রত্যাশিত সংবাদ ও ঘটনা জাতির মনে, সমাজে, নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। রোববার দুপুর ২টায় খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ষষ্ঠ সমাবর্তন অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রেসিডেন্ট আবদুল হামিদ বলেন, প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীকে মানুষদের সচেতন করার দায়িত্ব নিতে হবে। প্রয়োজনে সারাদেশে ক্যাম্পেইন করে মানুষকে সচেতন করতে হবে।
দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হার ধারাবাহিকভাবে বেড়ে চলেছে। মাথাপিছু আয় বাড়ছে, কমছে দারিদ্রতার হার। কৃষির উন্নতিতে দেশ আজ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ এর মাধ্যমে বাংলাদেশ আজ সাটেলাইট ক্লাবের গর্বিত সদস্য।
এ বছর খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ষষ্ঠ সমাবর্তনে ৪ হাজার ৪৭৮ জনকে স্নাতক, ২ হাজার ৫৩০ জনকে স্নাতকোত্তর, এম.ফিল. ৫ জনকে, পি.এইচ. ডি. ৮ জনকে এবং ১৭ জনকে পোস্ট-গ্রাজুয়েট ডিপ্লোমা ইন এডুকেশন ডিগ্রি প্রদান করা হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন স্কুলের (অনুষদ) পরীক্ষার ফলাফলে অসাধারণ কৃতিত্বের জন্য ২৩ শিক্ষার্থীকে চ্যান্সেলর গোল্ড মেডেল প্রদান করা হয়।
সমার্বতন অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি এবং বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. কাজী শহীদুল্লাহ। সমাবর্তনে বক্তব্য রাখেন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও সমাজবিজ্ঞানী প্রফেসর ড. অনুপম সেন, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ ফায়েকউজ্জামান।
সমাবর্তন অনুষ্ঠানের আগে রাষ্ট্রপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্মিত বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল ‘কালজয়ী মুজিব’ উদ্বোধন করেন।