ব্র্যাকের প্রতিষ্ঠাতা স্যার ফজলে হাসান আবেদের মৃত্যুতে কূটনৈতিক অঙ্গনেও শোকের ছায়া নেমে এসেছে। ভিন দেশি কূটনীতিকরা টুইট বার্তায় কীর্তিমান ফজলে হাসান আবেদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতার বিভিন্ন মুহূর্তের ছবিসহ নানা পোস্ট দিয়ে তার বর্ণাঢ্য কর্মজীবনকে স্মরণ করছেন। ঢাকায় নিযুক্ত বৃটিশ হাইকমিশনার রবার্ট চ্যাটার্সন ডিকসন তার নিজের টুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে প্রচারিত বার্তায় লিখেন- শুনে খুবই খারাপ লাগছে যে, ফজলে হাসান আবেদ আর আমাদের মাঝে নেই। তার এ বিদায় ব্র্যাকের জন্য বড় ক্ষতি তো বটেই, এটা বাংলাদেশ এবং সেই সব দেশেরও ক্ষতি যেসব দেশে তিনি গরিব মানুষদের জীবন মানে পরিবর্তন আনতে কাজ করেছেন।
তার আইডিয়া এবং পরিশ্রমে গড়া কীর্তি (ব্র্যাক) আজ বিশ্বের সবচেয়ে বড় ও মর্যাদাপূর্ণ এনজিওতে পরিণত হয়েছে। ঢাকাস্থ জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী মিয়া সেপ্পো তার টুইট বার্তায় শোকাহত পরিবার এবং তার বৃহত্তর পরিবার ব্র্যাক ওয়ার্ল্ডের প্রতি শোক ও সমবেদনা জানিয়ে লিখেন- সাফল্যমণ্ডিত জীবন এবং তাঁর রেখে যাওয়া দর্শনে তিনি ছিলেন এমন এক ব্যক্তিত্ব, যিনি বিশ্বে পরিবর্তন আনতে চেয়েছিলেন। আমৃত্যু তার সাধনা ছিল মানুষকে দরিদ্রতা থেকে বের করে আনা। তাঁর এই প্রচেষ্টার কথা কখনই ভুলে যাওয়া সম্ভব নয়।
ঢাকাস্থ ডাচ্ রাষ্ট্রদূত হ্যারি ভারওয়েজ নিজের টুইট অ্যাকাউন্ট থেকে প্রচারিত বার্তায় ফজলে হাসান আবেদকে ‘ভাই’ সম্মোধন করে মেমোরিতে থাকা তাঁর সঙ্গে আন্দনঘন মুহূর্তের একটি ছবি শেয়ার করে লিখেন- ব্র্যাক ওয়ার্ল্ডের প্রতিষ্ঠাতা ফজলে হাসান ভাই, একজন মহান মানবতাবাদী হিসেবে আমাদের অন্তরে বেঁচে থাকবেন। তিনি বৃহত্তর পরিসরে মানবতার জন্য অবদান রেখে গেছেন। তিনি ছিলেন বাংলাদেশের একজন মেধাবী সন্তান। তার অনুপ্রেরণা আমাদের মাঝে বহমান থাকবে।