কলকাতা: নাগরিকত্ব আইন এবং নাগরিকপঞ্জীর বিরুদ্ধে আন্দোলনকে যেভাবে পুলিশ দিয়ে দমন করার চেষ্টা হচ্ছে তার কঠোর সমালোচনা করে শুক্রবারই বিবৃতি দিয়েছেন কংগ্রেস সভাপতি সোনিয়া গান্ধী। এর আগে বিরোধী কণ্ঠস্বরকে বন্ধ করার অভিযোগও উঠেছে নরেন্দ্র মোদি সরকারের বিরুদ্ধে। সেই সব অভিযোগকে উপেক্ষা করেই সরকার টিভি চ্যানেলগুলোতে বিক্ষোভ ও অশান্তির দৃশ্য দেখানোর ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। সমাজে হিংসা তৈরি করতে পারে, এমন দৃশ্য টিভিতে সম্প্রচার করতে নিষেধ করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। গত শুক্রবার কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রক একটি নির্দেশিকা জারি করে সমস্ত বেসরকারি টিভি চ্যানেল, ডিটিএইচ অপারেটর এবং কেবল অপারেটরগুলোকে পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছে, এমন কিছু টিভিতে দেখানো যাবে না যাতে সমাজে হিংসা ছড়িয়ে পড়ে।
কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রকের নিষেধাজ্ঞায় জানানো হয়, দেশদ্রোহী মানুষদের বিক্ষোভ এবং হিংসার দৃশ্য দেখানো হলে দেশের সম্প্রীতি নষ্ট হবে। আইনশৃঙ্খলা ভেঙে পড়বে। এই নিয়ে দু’বার এমন নিষেধাজ্ঞা জারি করলো কেন্দ্র।
গত ১১ই ডিসেম্বর রাজ্যসভায় নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল পাস হওয়ার পর গোটা উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলোতে বিক্ষোভ তুমুল আকার নেয়। সেই সময়েও এই নির্দেশ দিয়েছিল কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রক। তবে সেই বিক্ষোভ ক্রমে গোটা ভারতে ছড়িয়ে পড়েছে। দিল্লি, উত্তরপ্রদেশ, পশ্চিমবঙ্গ, কর্ণাটক, তামিলনাড়ু, মহারাষ্ট্রসহ বিভিন্ন রাজ্যে বিক্ষোভ সমাবেশ চলছে। পুলিশও এই বিক্ষোভ দমনে লাঠি, জলকামান, কাঁদানে গ্যাস এবং গুলি ব্যবহার করছে। টিভি চ্যানেলগুলোতে সেই দৃশ্যের লাইভ সম্প্রচারও চলছে। আর তাই সরকার নিষেধাজ্ঞা চালু করেছে বলে মনে করা হচ্ছে।