ঢাকা: ২০১৫ সালের প্রথম দিন আজ বৃহস্পতিবার। বছর শুরু হলো জামায়াতে ইসলামীর ডাকা দেশব্যাপী সকাল-সন্ধ্যা হরতাল দিয়ে। একই সঙ্গে গত বছরের শেষ দিনটিও কেটেছে হরতালে।
জামায়াতের বিবৃতি অনুযায়ী, গতকালের মতো আজও ভোর ছয়টা থেকে শুরু হয়ে সন্ধ্যা সাড়ে পাঁচটা পর্যন্ত হরতাল চলবে।
গতকাল হরতালে মানুষের জীবনযাত্রা ছিল অনেকটাই স্বাভাবিক। কোথাও তেমন সহিংসতার ঘটনা ঘটেনি। দূরপাল্লার বাস না ছাড়লেও রেল ও লঞ্চ চলাচল করেছে। সড়কে ব্যক্তিগত গাড়ির উপস্থিতি ছিল অনেকটাই কম। সরকারি-বেসরকারি অফিস, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও বিপণিবিতান খোলা ছিল। বিভিন্ন স্থানে মিছিল করে হরতাল-সমর্থকেরা। পোড়ানো হয় কয়েকটি গাড়ি।
মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে দলের নেতা এ টি এম আজহারুল ইসলামের ফাঁসির আদেশের প্রতিবাদে দুই দিনের এই হরতালের ডাক দেয় জামায়াত।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ আজহারুলের বিরুদ্ধে মামলার রায় ঘোষণার পর গত মঙ্গলবার গণমাধ্যমে পাঠানো বিবৃতিতে জামায়াতের ভারপ্রাপ্ত আমির মকবুল আহমাদ হরতালের এই কর্মসূচি দেন।
অ্যাম্বুলেন্স, লাশবাহী গাড়ি, হাসপাতাল, ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি হরতালের আওতামুক্ত থাকবে বলে ওই বিবৃতিতে জানানো হয়েছে।
হরতালের দ্বিতীয় দিনেও রাজধানীতে বাস, সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যক্তিগত গাড়িসহ বিভিন্ন যানবাহন চলতে দেখা গেছে। সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে যানবাহনের সংখ্যা বাড়ছে।
তবে সায়েদাবাদ, মহাখালী, গাবতলী থেকে দূরপাল্লার বাস ছেড়ে যায়নি।
সকালের অফিস সময়ে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে প্রচুর মানুষকে গণপরিবহনের অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে। বাসগুলোতে দেখা গেছে ভিড়। হরতালের পক্ষে তেমন কোনো তৎপরতা দেখা যায়নি।
রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ সড়ক ও স্থানে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা সতর্ক রয়েছেন।