ঢাকা:হাড় কাঁপানো শীতে কাঁপছে প্রায় সারা দেশ। দেশের বিভিন্ন এলাকায় প্রচণ্ড ঠাণ্ডার পাশাপাশি কুয়াশার কারণে সূর্যের দেখা মেলেনি। ফলে ব্যাহত হচ্ছে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। ঠাণ্ডায় বিভিন্ন এলাকায় শীতজনিত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। শিশুদের ঠাণ্ডাজনিত সমস্যায় সবচেয়ে বেশি ভুগতে দেখা যাচ্ছে।
দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের ওপর দিয়ে শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। বৃহস্পতিবার দেশের বিভিন্ন এলাকায় সারাদিন দেখা যায়নি সূর্যের মুখ। আজ শুক্রবারও একই অবস্থা থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।
বিভিন্ন জেলায় নদী ভাঙনের কারণে গৃহহারা, বন্যা নিয়ন্ত্রন বাঁধে আশ্রিত এবং চরাঞ্চলে বসবাসকারীরা ঠাণ্ডা প্রতিরোধের ব্যবস্থা না থাকায় সবচেয়ে দুর্ভোগে রয়েছে।
দেশর উত্তরাঞ্চলে প্রচণ্ড ঠাণ্ডায় দারিদ্র্যপীড়িত এলাকার মানুষেরা ভোগান্তিতে পড়েছে। উত্তরাঞ্চলের বিভিন্ন জেলায়, বিশেষত চরলাঞ্চের মানুষজন প্রচণ্ড ঠাণ্ডা প্রতিরোধে কোনো ব্যবস্থা না থাকায় আগুন জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছে। অনেকেই সাহায্যের আশায় রয়েছেন।
এদিকে কুয়াশার কারণে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে নৌপথ ও সড়কপথে চলাচল ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। গত মধ্যরাত থেকে ভোর পর্যন্ত প্রায় ৫ ঘণ্টা দেশের অন্যতম প্রধান নৌরুট পাটুরিয়া-দৌলতদিয়ায় ফেরি চলাচল বন্ধ ছিল।
মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশায় ব্যাহত হচ্ছে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা।
হাসপাতালে বেড়েই চলেছে ঠাণ্ডাজনিত বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে আসা রোগীর সংখ্যা। বিশেষ করে প্রচণ্ড ঠাণ্ডায় শীতবস্ত্রের অভাবে কাবু হয়ে পড়েছে উত্তরাঞ্চলের ছিন্নমূল ও দরিদ্র মানুষেরা।
গ্রামে-গঞ্জে চলছে আগুন জ্বেলে হাত-পা গরম করার পালা। এ অবস্থায় আগুন জ্বালিয়ে শীত নিবারণ করতে গিয়ে বিভিন্ন অগ্নি দুর্ঘটনার ঘটনা বাড়ছে। প্রচণ্ড ঠাণ্ডায় শরীর গরম করতে আগুন পোহাতে গিয়ে অগ্নিদগ্ধ হয়ে ছয়জন রংপুর মেডিক্যালে ভর্তি হয়েছেন। এদের মধ্যে একজনকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে বলে জানা গেছে।
গতকাল দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় চুয়াডাঙ্গায় ৭ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
উত্তরের হিমেল হাওয়ার কারণে আগামী কয়েকদিন তাপমাত্রা আরো কমবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস সূত্র। তাপমাত্রা এক থেকে দুই ডিগ্রি কমে শীত আরো বাড়তে পারে।