মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয়কে রাজাকার, আলবদর ও আলশামসের কোনো তালিকা দেয়া হয়নি বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। তিনি বলেন, আমাদের দেয়া তালিকাটি দালাল আইনের অভিযুক্তদের তালিকা। গতকাল বিকালে সচিবালয়ের নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী একথা বলেন। তিনি বলেন, দালাল আইনে যারা অভিযুক্ত ও মামলা হয়েছে তাদের তালিকা দিয়েছি। তবে এর সঙ্গে আমরা একটি নোট দিয়েছি। আমাদের কোথাও ভুলভ্রান্তি থাকলে তা দেখা হবে। এই কাজে যারা ভুল করেছে তাদের অবশ্যই শাস্তির আওতায় আনা হবে। ঠিকমতো যাচাই-বাছাই না করেই এই তালিকা প্রকাশ মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রীর ‘রাজনৈতিক স্ট্যান্টবাজি’ কিনা, এই প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, তা আমি বলবো না।
আমি বিশ্বাস করি তিনি হয়তো ভালো কিছু করার জন্যই এই তালিকাটি চেয়েছিলেন। এই তালিকা করার জন্য মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়কে ৬০ কোটি টাকা দেয়া হয়েছিল, সেটা কোথায় খরচ হয়েছে- প্রশ্ন করা হলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এ বিষয়ে আমি মন্তব্য করতে চাই না। কারণ তিনি একজন সিনিয়র মন্ত্রী। এই ধরনের বিতর্কিত তালিকা তৈরি করা ‘সাবোটাজ’ কিনা, জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, সেটা খতিয়ে দেখা হবে। আমার মন্ত্রণালয় যে কাজ করেছে, তাতে ভুল হতে পারে। তবে এ ধরনের একটি বড় কাজে সেই ভুল কতখানি সহনীয় তা খতিয়ে দেখতে তদন্ত কমিটি করা হবে। একাত্তরে মহান মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতাকারী ১০ হাজার ৭৮৯ জন রাজাকারের নামের তালিকা গত ১৫ই ডিসেম্বর প্রকাশ করেছে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়। মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক এ তালিকা প্রকাশ করেন। এ সময় মন্ত্রী বলেন, আমরা প্রথম পর্যায়ে মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতাকারী ১০ হাজার ৭৮৯ জন রাজাকারের নামের তালিকা প্রকাশ করেছি। ভবিষ্যতে পূর্ণাঙ্গ তালিকা প্রকাশ করা হবে। এদিকে ওই তালিকা প্রকাশের পর এতে অনেক স্বীকৃত ও ভাতাপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধার নাম আসায় বিভিন্ন মহলে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। এর মধ্যে বিষয়টি নিয়ে দুঃখও প্রকাশ করেছেন আ ক ম মোজাম্মেল হক।