পৌষ মাস শুরু হয়ে গেছে আরও একদিন আগে। গ্রামে-গঞ্জে বাড়িতে বাড়িতে চলছে শীতের পিঠা বানানোর তোড়জোড়। দেশের উত্তরাঞ্চলে তো আরও আগেই শীত এসে গেছে। এখন রীতিমতো হাড় হিম করা ঠাণ্ডা। দেশের সকল গ্রামাঞ্চলেও এখন পরিপূর্ণ শীতকাল চলছে। কিন্তু রাজধানী ঢাকার বাসিন্দারা শীতের পরশ পাচ্ছেন দেরিতে। বৃক্ষরাজি বিহীন, দূষিত, জনবহুল এই শহরে কীভাবে আসবে শীত?
অবশেষে গতকাল পহেলা পৌষ থেকে কিছুটা হলেও শীত পড়েছে রাজধানীতে। আজ মঙ্গলবার সকালে রাজধানীর তাপমাত্রা ১৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস দেখাচ্ছে। সেইসঙ্গে বেড়েগেছে ধুলোবালি। রাস্তায় মাস্ক ছাড়া চলাফেরা এখন মুশকিল হয়ে গেছে। এসব মাত্রাতিরিক্ত ধুলোবালির কারণে মানুষ নানারককম রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। মেট্রোরেল প্রজেক্টের কারণে রাজধানীর অন্যান্য এলাকার চেয়ে মিরপুরের বাসিন্দারা খুব বেশি ধুলোবালির শিকার হচ্ছে। আক্রান্ত হচ্ছে শ্বাসজনিত রোগে।
এদিকে শীত উপভোগ করতে অনেকেই ছুটছেন গ্রামের বাড়িতে। বছরজুড়ে তীব্র গরম সহ্য করার পর এ তো পরম প্রাপ্তি। রাজধানীতে শীতের স্বল্পতার কারণে এখন পর্যন্ত কিছুটা হলেও স্বস্তিতে রয়েছে গৃহহীন ছিন্নমূল মানুষ। তারপরেও বিভিন্ন এলাকায় দরিদ্রদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ শুরু করেছে বেশ কিছু সংগঠন। অন্যদিকে শীতের কাপড় বিক্রেতাদের রমরমা বাণিজ্য এখনও শুরু হয়নি। আবহাওয়াবিদরা বলছেন, জানুয়ারি থেকেই শীত জাঁকিয়ে বসবে প্রায় দেড় কোটি মানুষের আবাস রাজধানীতে।