বিমান বাহিনীর আধুনিকায়নে সর্বোচ্চ উদ্যোগ নেয়া হয়েছে’

Slider

hasinaaaa
ঢাকা: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, নানা সীমাবদ্ধতা সত্বেও বর্তমান সরকার দেশে বিমান বাহিনীর আধুনিকায়নে সর্বাত্মক উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। বিমান বাহিনীর বহরে যোগ হচ্ছে নতুন নতুন যন্ত্রপাতি আর আধুনিক বিমান। আর এ কারনে বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর কর্তব্যনিষ্ঠা ও পেশাদারিত্ব বিশ্বনেতৃবৃন্দের প্রশংসা কুড়িয়েছে। তিনি বলেন, অনেক সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও জাতিসংঘ নিরাপত্তা কার্যক্রমের অধীনে বাংলাদেশ বিমান বাহিনী  প্রতিবছর  প্রায় চার হাজার উড্ডয়ন ঘণ্টা সাফল্যের সঙ্গে সম্পন্ন করে যাচ্ছে। আজ বুধবার দুপুরে যশোর বিমান বাহিনী একাডেমিতে আয়োজিত বাংলাদেশ বিমান বাহিনী শীতকালীন গ্রাজুয়েশন কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে  প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ সব কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে পরিবহন বিমানের কন্টিনজেন্ট বৃদ্ধি এবং নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে আমাদের বিমান বাহিনীর অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে আমরা কাজ করে যাচ্ছি।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিমান বাহিনীর নবীন কর্মকর্তাদের উদ্দেশে বলেন, কঠোর পরিশ্রম, শৃঙ্খলা এবং অধ্যবসায়ের মাধ্যমে সামরিক প্রশিক্ষণের প্রাথমিক ধাপ সফলতার সঙ্গে শেষ করে আজ আপনারা কমিশন পেতে যাচ্ছেন। তিনি বলেন, এটি অত্যন্ত আনন্দের। অত্যন্ত গর্বের। আমি কমিশন প্রাপ্ত সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাচ্ছি। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু ও কক্সবাজার বিমান ঘাঁটি পূর্ণাঙ্গ ঘাঁটি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে। সংযোজন করা হয়েছে বিমান বাহিনীর জন্য প্রথমবারের মতো সারফেস টু এয়ার মিসাইল সিস্টেম। সমুদ্রসীমার এক্সক্লুসিভ ইকোনমিক জোন পর্যবেক্ষণের জন্য কক্সবাজারে স্থাপন করা হয়েছে নতুন উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন এয়ার ডিফেন্স রাডার।
বিমান বাহিনী উন্নয়নে বিমান বাহিনী ঘাঁটি বঙ্গবন্ধুতে ‘বঙ্গবন্ধু অ্যারোনটিক্যাল সেন্টার’ প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী। তিন বাহিনীর পদমর্যাদা বৃদ্ধি করাসহ সুযোগ-সুবিধার বৃদ্ধির কথা জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, আমরা তিন বাহিনীর সদস্যদের পদমর্যাদা বৃদ্ধি করেছি। চাকরির সময়সীমা বাড়ানো হয়েছে। জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে বিমান বাহিনীর সদস্য সংখ্যা বৃদ্ধি করা হচ্ছে। বিমান বাহিনীতে নতুন নতুন ইউনিট স্থাপনের ফলে জনবল বৃদ্ধি পাচ্ছে। পদোন্নতির পথ সুগম হচ্ছে। এর আগে বিমান বাহিনীর একটি বিশেষ হেলিকপ্টারে প্রধানমন্ত্রী বেলা ১১টা ২৫ মিনিটে যশোর মতিউর রহমান বিমান ঘাঁটিতে অবতরণ করেন। এসময় বিমান বাহিনীর প্রধানসহ অন্যান্য সামরিক কর্মকর্তারা প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানান। আনুষ্ঠানিকতা শেষে প্রধানমন্ত্রী মোটর শোভাযাত্রাসহকারে বিমান বাহিনীর একটি জীপে করে ঘাঁটির প্যারেড গ্রাউন্ডে প্রবেশ করেন। এসময় বিউগলে জাতীয় সঙ্গীত ও বিমান বাহিনীর নিজস্ব সঙ্গীত পরিবেশিত হয়। পরে প্রধানমন্ত্রী প্যারেড পরিদর্শন করেন এবং প্রশিক্ষণে সর্বোচ্চ কৃতিত্ব অর্জণকারী নবীন অফিসারদের মধ্যে
পুরস্কার বিতরণ করেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *