নাগরিকত্ব সংশোধন আইন: দক্ষিণপূর্ব দিল্লির সরকারি-বেসরকারি স্কুল বন্ধ আজ

Slider জাতীয় ফুলজান বিবির বাংলা


ডেস্ক: নাগরিকত্ব সংশোধন আইনকে কেন্দ্র করে জামিয়া ইউনিভার্সিটির প্রতিবাদ বিক্ষোভ সহিংস হয়ে উঠার প্রেক্ষিতে আজ সোমবার ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে দক্ষিণপূর্ব দিল্লিতে সব সরকারি ও বেসরকারি স্কুল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। রোববার ওই প্রতিবাদ বিক্ষোভ সহিংস রূপ ধারণ করে। স্কুল বন্ধের এ ঘোষণা টুইটারে দিয়েছেন উপ মুখ্যমন্ত্রী মানিশ সিসোদিয়া। ওই টুইটে তিনি লিখেছেন দিল্লির দক্ষিণ পূর্ব জেলার ওখলা, জামিয়া, নিউ ফ্রেন্ডস কলোনি এবং মদনপুর খাদার অঞ্চলের সব সরকারি ও বেসরকারি স্কুল সোমবার বন্ধ থাকবে। বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনা করে দিল্লি সরকার স্কুল বন্ধ রাখার এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এসব এলাকার স্কুলের শিক্ষার্থীদের স্কুলে না পাঠাতে পিতামাতাদের অনুরোধ করা হয়েছে। এ খবর দিয়েছে অনলাইন জি নিউজ।

ওদিকে দিল্লি ট্রাফিক পুলিশ সারিতা বিহার থেকে কালিন্দিকুঞ্জ পর্যন্ত ১৩এ নম্বর সড়ক পর্যন্ত যান চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে।
যানবাহন চালকদের পরামর্শ দেয়া হয়েছে দিল্লিগামী যানবাহনকে নয়াডা থেকে মথুরা রোড, আশ্রম ও ডিএনডি হয়ে যেতে। অন্যদিকে বদরপুর থেকে যেসব যানবাহন যাচ্ছে তাদেরকে আশ্রমচক হয়ে যেতে বলা হয়েছে। রোববারের সহিংসতার পরে দিল্লির ১৫টিরও বেশি মেট্রো স্টেশনের প্রবেশ ও বের হওয়ার গেট বন্ধ রাখা হয়। এর মধ্যে রয়েছে দিল্লি গেট, প্রগতি ময়দান, আইটিও, আইআইটি, জিটিবি নগর, শিবাজি স্টেডিয়াম, বসন্তবিহার, মুনিরকা, আরকে পুরাম, সুখদেববিহার, জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া, ওখলা বিহার ও জাসোলা বিহার স্টেশন।

তবে সোমবার সকালে দিল্লি মেট্রো রেল করপোরেশন জানিয়েছে এসব স্টেশনের প্রবেশ ও বহির্গমনের গেট খুলে দেয়া হয়েছে। সব স্টেশনে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে। উল্লেখ্য, রোববার নাগরিকত্ব সংশোধন আইনের প্রতিবাদ বিক্ষোভের সময় তিনটি বাসে আগুন দেয়া হয়েছে। বেশ কিছু যানবাহন ভাঙচুর করা হয়েছে। এসব সংঘর্ষ হয় দক্ষিণ দিল্লির নিউ ফ্রেন্ডস কলোনির কাছে। এ সময় বেশ কিছু সাধারণ মানুষ এবং পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। জুলেনা ক্রসিংয়ের কাছে সঙ্গে সঙ্গে ছুটে যায় অগ্নি নির্বাপকরা। সেখানে বিক্ষোভকারীদের ওপর দিল্লি পুলিশ লাঠিচার্জ করে। কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে। ওদিকে পরীক্ষা স্থগিত করে শীতকালীন ছুটি ঘোষণা করে জামিয়া ইউনিভার্সিটি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *