মহান বিজয় দিবসের সকালে সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে হাজারো মানুষের ভিড়ে মন কেড়েছে তোফাজ্জলের বাঁশির সুর। বাশের বাঁশিতে তোফাজ্জলের বিজয়ের এই সুরে থমকে দাঁড়াচ্ছেন অনেকেই। মোবাইলে ভিডিও ধারণও করছেন। কৌতুহলী মন নিয়ে অনেকেই আবার জানতে চাইছেন রিকশাচালকের বাঁশির সুরের গোপন তথ্য ও তার জীবন কাহিনী।
আজ সোমবার বিজয় দিবসে খুব ভোরেই হাতে বাশের বাঁশি নিয়ে সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে এসেছেন দিনাজপুরের তোফাজ্জল হোসেন। এখন থাকেন তিনি মিরপুরে। পেশায় রিকশাচালক। নয়া দিগন্তের এই প্রতিবেদককে তিনি জানালেন গ্রামের রাখাল জীবনের নানা অজানা কথা। অভাবী সংসারের হাত ধরেছিলেন কিশোর বয়সেই। মাঠে গরু চড়াতেন। সারা দিন কেটে যেতো বাঁশিতে বাহারি সুরের ঝংকার তুলে। সংসারী জীবনে এখন তিনি থাকেন মিরপুরে। তিন মেয়ে আর স্ত্রীকে নিয়ে থাকেন এখানে। কয়েক বছর আগে একমাত্র ছেলের মৃত্যুতে সংসারের তার যেন কালো মেঘের ঘোর নেমেছে। এক মেয়েকে বিয়ে দিয়েছেন। বাকিদের নিয়ে সংসার চলে রিকশা চালিয়ে।
Ad by Valueimpression
তোফাজ্জল হোসেন জানালেন, শুধু বাশের বাঁশিতেই নয়, হাতের তালুতেও রয়েছে সুরের ভাণ্ডার। খালি হাতের তালুতে মুখ লাগিয়ে তিনি সুর তোলেন। বিমোহিত করেন সবাইকে। যেকোনো সুরে গানও গাইতে পারেন।
কেমন বাংলাদেশ দেখতে চান? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, নিরাপদ বাংলাদেশ দেখতে চাই। সবাই যেন নিজ নিজ জায়গায় নিরাপদ থাকতে পারেন এমন সুন্দর বাংলাদেশ আমি দেখতে চাই। যেখানে কারো প্রতি কোনো বিদ্বেষমুলক আচরণ নয়, সবাই মিলে একসাথে যেভাবে এই দেশ স্বাধীন করেছি ঠিক তেমনিভাবে আমরা স্বাধীন দেশে মিলেমিশে থাকতে চাই। একটি সুন্দর ও সম্ভাবনার আগামীর বাংলাদেশ দেখতে চাই।