ঢাকার কেরানীগঞ্জে প্লাস্টিক সামগ্রী তৈরির কারখানায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় দগ্ধ আরও দু’জনের মৃত্যু হয়েছে। তারা হলেন মেহেদী (২০) ও আবদুর রাজ্জাক (৪৫)। এ নিয়ে ওই ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো ১৪ জনে। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের (ঢামেক) বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বেলা দেড়টা পর্যন্ত বিভিন্ন সময় তাদের মৃত্যু হয়। চিকিৎসাধীন অনেকের অবস্থা আশঙ্কজনক বলে জানা গেছে। বার্ন ইউনিটের আবাসিক সার্জন আ ফ ম আরিফুল ইসলাম এ তথ্য জানিয়েছেন। এর আগে আজ ভোর থেকে বেলা ১১ টা পর্যন্ত ১২ জনের মৃত্যু হয়। এদিকে এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় দু’টি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের অ্যাম্বুলেন্স শাখার উপ-পরিচালক আবুল হোসেনকে প্রধান করে চার সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
অন্যদিকে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ড. মোল্লা জালাল উদ্দিনকে আহ্বায়ক এবং কলকারাখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের উপ-মহাপরিদর্শক (সেফটি) মো. কামরুল হাসানকে সদস্য সচিব করে পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করেছে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়।
গণমাধ্যমকে উপ-পরিচালক আবুল হোসেন বলেন, আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে হবে। তবে আমাদের চেষ্টা থাকবে নির্ধারিত সময়ের আগেই প্রতিবেদনটি জমা দেয়ার।
সচিব কেএম আলী আজম বলেন, আমরা পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছি। তদন্ত কমিটিকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে, শুধু ঘটনার কারণ নির্ধারণ করলেই হবে না, পাশাপাশি তদন্তে যদি কারও গাফেলতির প্রমাণ পাওয়া যায় তবে তার বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়ার সুপারিশ দিতে হবে কমিটিকে।
গতকাল বিকালে কেরানীগঞ্জের চুনকুটিয়ায় প্লাস্টিকের থালা তৈরির কারখানায় এ ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। আগুনে দ্বগ্ধ ৪০ জনের মধ্যে ২৮ জনকে ঢাকা মেডিকেলের বার্ন ইউনিট ও শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউশনে ভর্তি করা হয়েছে। তাদের মধ্যে অনেকের অবস্থা আশঙ্কাজনক। এর আগেও ২০১৬ সালের ২৮শে নভেম্বর কারখানাটিতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এরপর চলতি বছরের ২৫শে এপ্রিল দ্বিতীয়বারের মতো আগুন লাগে। তবে ওই দু’টি অগ্নিকাণ্ডে কারখানার ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হলেও কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।