শহীদ তাজউদ্দীন মেডিকেলে হঠাৎ একই এলাকার ডায়রিয়া রোগীর সংখ্যা শতাধিক!

Slider গ্রাম বাংলা জাতীয়


মোঃ জাকারিয়া, গাজীপুর: গাজীপুরে অবিস্থত শহীদ তাজউদ্দীন আহমেদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে হঠাৎ একই এলাকা থেকে শতাধিক ডায়রিয়া রোগী ভর্তি হয়েছেন। গত কয়েক ঘন্টায় এই সকল রোগীর মধ্যে কিছু রোগীকে মহাখালীতে পাঠানো হয়েছে।

আজ বুধবার দুপুরে সরেজমিন শহীদ তাজউদ্দীন আহমেদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গিয়ে এই তথ্য পাওয়া যায়।

শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের হেলথ এডুকেটর আবু সাইদ জানান, গত ৪৮ ঘন্টায় হাসপাতালে আসা ৯০ জন ডায়রিয়া রোগীকে ভর্তি করা হয়েছে। অনেককে চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। কয়েকজনকে ঢাকায় রেফার্ড করা হয়েছে। তবে গত ২৪ ঘন্টায় ৮৬ জন ডায়রিয়া রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন বলে জানান তিনি।

হাসপাতালের জরুরী বিভাগ সূত্রে জানা যায়, গতরাত ১০টা থেকে আজ বিকাল ৩টা পর্যন্ত মোট ১০২জন ডায়রিয়া রোগী এসেছেন। তাদের মধ্যে ৬জনকে ঢাকায় মহাখালী ডায়রিয়া হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়।

শহীদ তাজউদ্দীন আহমেদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ৭তলায় কর্তব্যরত নার্স জানান, আজকে মোট ১৬জনকে ভর্তি করা হয়েছে। তারা সকলেই ডায়রিয়া রোগী। ডায়রিয়া পানি বাহিত রোগ। হাসপাতালে কর্তব্যরত আউট সোর্সিং কর্মী মহন খান জানান, গত ৩দিনে এখান থেকে মহাখালীতে পাঠানো হয়েছে ৩০/৪০ জন ডায়রিয়া রোগী।

হাসপাতালের রেজিষ্টার দেথে ও রোগীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, তাদের মধ্যে প্রায় সকলেরই বাড়ি গাজীপুর মহানগরের পূর্বচান্দনা ও একই এলাকার কাজী বাড়ি নামক স্থানে।

কাজী বাড়ি এলাকার বাসিন্দা ইমরান জানান, তার পরিবারের ৫জন হঠাৎ ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়। তার অভিযোগ, পানি থেকে এই রোগের জন্ম। এই পরিবারের ভর্তি হওয়া রোগীরা হলেন, এমরানের মা সামসুন্নাহার(৪০), স্ত্রী মিতু আক্তার(১৯), ফুফাত ভাই কাউসার(২৬), চাচী শিল্পী আক্তার(২২), ফুফু কুরসুম বেগম(৫০)।

হাসপাতালে ভর্তি একই এলাকার রোগী ফরিদা আক্তার(৪০), আকলিমা বেগম(৪২),সুমি আক্তার(২১), কোহিনূর বেগম(৪৫), মমতাজ বেগম(৬৫), আছমা আক্তার(৪৫),মুক্তি বেগম(৩৫) সহ অনেক রোগী। তাদের সকলেরই অভিযোগ, পানি থেকে রোগের জন্ম।

তবে হঠাৎ করে একই এলাকার শতাধিক রোগী কেন ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হল তার সঠিক উত্তর জানা যায়নি। তবে রোগীদের দাবী, তারা দুই ধরণের পানি ব্যবহার করেন। সাবমারসিবলের পানি ও সিটিকরপোরেশনের পানি। কোন পানি খেয়ে হঠাৎ ডায়রিয়া হল, তা জানার জন্য একটি তদন্ত দাবী তাদের।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *