রাজশাহী: মহানগর ও জেলা বিএনপি’র আয়োজনে গতকাল রোববার বেলা ১১টার দিকে নগরীর মালোপাড়াস্থ বিএনপি কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ হয়। আপিল বিভাগের নির্দেশনা সত্বেও সরকার মেডিকেল রিপোর্টা না দেয়ার প্রতিবাদে এবং দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তির দাবীতে এই সমাবেশ করেন বিএনপি নেতাকর্মীরা। বিক্ষোভ সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন বিএনপি কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও জেলা বিএনপি’র আহবায়ক আবু সাঈদ চাঁদ। প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপি কেন্দ্রীয় কমিটির বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক, রাজশাহী মহানগর বিএনপি’র সভাপতি ও সাবেক রাসিক মেয়র মোহাম্মদ মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল। বিশেষ অতিথি ছিলেন বিএনপি কেন্দ্রীয় কমিটির ত্রাণ ও পুনর্বাসন বিষয়ক সহ-সম্পাদক ও মহানগর বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক এ্যাডভোকেট শফিকুল হক মিলন।
এছাড়াও জেলা মহানগর বিএনপি’র সহ-সভাপডতি শফিউল আলম বুলু, বিএনপি’র সদস্য সৈয়দ মহসিন আলী, রাজপাড়া থানা বিএনপি’র সভাপতি শতকত আলী, মহানগর বিএনপি’র সাংগঠনিক সম্পাদক আসলাম সরকার, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ওয়ালিউল হক রানা, জেলা বিএনপি’র সদস্য অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম, আনোয়ার হোসেন উজ্জল, আব্দুর রাজ্জাক, শাহজাহান আলী, কৃষকদল কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য পিন্টু, পবা বিএনপি’র আহবায়ক সেলিম রেজা বাচ্চু। শাহ্ মখ্দুম থানা বিএনপি’র সভাপতি মনিরুজ্জামান শরীফ, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মতিন, মতিহার থানা বিএনপি’র সভাপতি আনসার আলী, রাজপাড়া থানা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক আলী হোসেন, বোয়ালিয়া থানা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক রবিউল আলম মিলু, সাংগঠনিক সম্পাদক দিলদার হোসেন, মতিহার থানা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হক ডিকেন।
মহানগর যুবদলের সভাপতি আবাুল কালাম আজাদ সুইট, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি জাকির হোসেন রিমন, সাধারণ সম্পাদক আবেদুর রেজা রিপন, মহানগর তাঁতী দলের সভাপতি আরিফুল শেখ বনি, মহানগর যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক নুরুজ্জামান টিটু ও জেলা যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক জুলফিকার আলী ভুট্টো, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক ওয়ালিউজ্জামান পরাগ, মহানগর মহিলা দলের যুগ্ম আহবায়ক এ্যাডভোকেট রওশন আরা পপি, জেলা মহিলা দলের সভাপতি সামসাদ বেগম মিতালী, মহানগর মহিলা দলের যুগ্ম আহবায়ক সামসুন্নাহার, নুরুন্নাহার, মুসলেমা বেলী, গুলশান আরা মমতা, রোজি ও জরিনা, মহিলা নেত্রী রীতা, মহানগর ছাত্র দলের সভাপতি আসাদুজ্জামান জনি, সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম রবি, জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক শরিফুল ইসলাম জনি, মহানগর ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আকবর আলী জ্যাকি, নাহিন আহম্মেদ, রাবি ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সুলতান আহম্মেদ রাহী ও জেলা ছাত্রদলের সহ-সভাপতি রবিউল ইসলাম কুসুমসহ মহানগর, থানা, উপজেলা, ইউনিয়ন, পৌরসভা ও বিভিন্ন ওয়ার্ড বিএনপি, অঙ্গ ও সংগঠনের নেতাকর্মী এবং সমর্থকগণ উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান অতিথি বক্তব্যে বুলবুল বলেন, বর্তমান অধৈব সরকার ২০০৮ ও ১০১৪সালে ভোট চুরি ও ২০১৯ সালে ডে-নাইট ভোট ডাকাতী করে ক্ষমতায় এসেছে। আর এই সরকারকে ক্ষমতায় আসার জন্য সারসরি কাজ করেছে আইন শৃংখলা বাহিনী। এখন সেই আইন শৃংখলা বাহিনীর মেয়েদেরও ধর্ষন করে মেরে ফেলছে এই সরকবারের সন্ত্রাসীরা। মাদকের রাজ্যে প্রবেশ করাচ্ছে সরকারের প্রভাবশালী নেতারা। জনগণের সমর্থন না নিয়ে সরকার গঠন করায় এখন আইন শৃংখলা বাহিনী ও পার্শবর্তী রাষ্ট্রের তাবেদারী করছে এই সরকার। বর্তমান প্রধানমন্ত্রীকে অচিরেই জেলখানা ডাকছে মন্তব্য করে বুলবুল বলেন, দেশে যে ভাবে হত্যা, গুম, ধর্ষন, অর্থ পাচার, দুর্নীতি ও নিত্যা প্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে তাতে সরকার প্রধানের নিস্তার নাই। জনগণই তাঁর বিচার করবে। তিনি আরো বলেন, বিএনপি স্বাধীনতার পক্ষের দল, মুক্তিযোদ্ধার দল, গণতন্ত্রে বিশ্বাসী একটি সুশৃংখল দল। এই দলের যে কোন সময় মাঠে নেমে আন্দোলন করার ক্ষমতা রাখে। কিন্তু বিএনপি আইনকে শ্রদ্ধা করে। গণতন্ত্রকে বিশ্বাস করে। সেহেতু গণতান্ত্রীকভাবেই এপর্যন্ত আন্দোলন করে আসছে। কিন্তু ১২ তারিখে বেগম জিয়ার জামিন না হলে কঠোর আন্দোলনের মাধ্যমে তাঁকে মুক্ত করা হবে জানান তিনি। বেগম জিয়া, গণতন্ত্র ও দেশের জণগনের মুক্তির মুক্তির আন্দোলনে বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগি সংগঠনের সকল নেতাকর্মী ও সাধারণ জনগণকে রাজপথে নেমে আসার আহবান জানান প্রধান অতিথি।
মিলন বলেন, রাজশাহীতে প্রকাশ্যে হত্যা শুরু হয়েছে। যা পূর্বে এমটা ছিল না। একের পর এক হত্যা সংগঠিত হলেও আইনশৃংখলা বাহিনী কিছুই করতে পারছেনা। অথচ বিএনপিকে গণতান্ত্রিক অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে। দেশে এখন খারাপের সংখ্যা বেরে গেছে। বতর্মান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজে ভোট চুরি করে দলকে ক্ষমতায় নিয়ে এসেছেন। তিনি শুরুতেই অন্যায় করেছেন। এখন অন্যের দোষ ও অন্যায় দেখে বেড়াচ্ছেন। প্রধানমন্ত্রী যে অপরাধ করেছেন তাঁর জন্য বেগম খালেদা জিয়ার নিকট ক্ষমা চাওয়ার জন্য বলেন তিনি। বেগম জিয়া ক্ষমা করলে জনগণ হয়ত প্রধানমন্ত্রীকে ক্ষমা করতে পারে। তিনি আরো বলেন, নিজেদের রক্ষা এবং বিরোধী দলকে দমন এবং আইনের মাধ্যমে জেলে আটকিয়ে রাখার জন্য সিনিয়র বিচারপতিকে বাদ দিয়ে জুনিয়র বিচারপতিকে প্রদান বিচারপতি বানিয়েছেন। সকল ক্ষেত্রে এই সরকার প্রদান দুর্নীতি করে চলছে বলে জানান মিলন। এই অবস্থা আর বেশী দিন চলতে দেয়া যাবেনা উল্লেখ করে ১২ তারিখের পরে কঠোর আন্দোলন শুরু করার হুঁশিয়ারী দেন তিনি।
সভাপতির বক্তব্যে চাঁদ উপস্থিত সকলকে ধন্যবাদ জানিয়ে আগামীতে আন্দোলনের জন্য প্রস্তুত থাকার জন্য নেতাকর্মীদের আহবান জানিয়ে সমাবেশ শেষ করেন।
প্রেস বিজ্ঞপ্তি