জয়পুরহাট প্রতিনিধি | জয়পুরহাট জেলা আইনজীবী সমিতির (জেলা বার) ২০২০ সালের বার্ষিক নির্বাচনে বিএনপি সমর্থিত জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ঐক্য পরিষদ প্রার্থীদের নিরঙ্কুশ বিজয় হয়েছে। ভরাডুবি হয়েছে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থীদের। এ নির্বচনে বিএনপি-জামায়াত সমর্থিত জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ঐক্য পরিষদ এর তরুণ-শাহীন প্যানেল ১১টি পদের মধ্যে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক সহ ৯টি পদে জয়লাভ করেছে এবং আওয়ামী লীগ সমর্থিত ‘বঙ্গবন্ধু আইনজীবী পরিষদ ও সম্মিলিতি আইনজীবী সমন্বয় পরিষদের নৃপেন সুফিয়ান প্যানেলের প্রার্থীরা মাত্র ২টি পদে নির্বাচিত হয়েছেন। শনিবার জয়পুরহাট জেলা বারের আইনজীবী ভবনে সকাল ৯ টা থেকে ২টা পর্যন্ত শান্তিপূর্ণভাবে এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে সভাপতি পদে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ঐক্য পরিষদের তরুণ-শাহীন প্যানেলের অ্যাডভোকেট মো. রফিকুল ইসলাম তালুকদার (তরুণ) ৯৮ ভোট পেয়ে সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্যানেলের প্রার্থী অ্যাডভোকেট নৃপেন্দ্রনাথ মন্ডল পেয়েছেন ৮৬ ভোট। সাধারণ সম্পাদক পদে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ঐক্য পরিষদ প্যানেলের প্রার্থী অ্যাডভোকেট শাহনুর রহমান শাহীন ১২১ ভোট পেয়ে টানা তৃতীয় বারের মতো সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্যানেলের প্রার্থী অ্যাডভোকেট দেওয়ান আবু সুফিয়ান পেয়েছেন ৬৫ ভোট।
এ ছাড়াও জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ঐক্য পরিষদ এর প্যানেল থেকে নির্বাচিত অন্যান্য কর্মকর্তরা হলেন সহ-সভাপতি পদে অ্যাডভোকেট আব্দুল মোমিন ফকির, অর্থ সম্পাদক পদে অ্যাডভোকেট একেএম আবু সুফিয়ান পলাশ, প্রচার-প্রকাশনা ও লাইব্রেরী সম্পাদক অ্যাডভোকেট রিনাত ফেরদৌসী রিনি, আপ্যায়ন, ক্রীড়া, সাংস্কৃতি ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদক পদে অ্যাডভোকেট আলমগীর কবির এবং কার্যকরী সদস্য পদে মোট ৩ জন যথাক্রমে- অ্যাডভোকেট নাসিমুস সাকালাইন টিটো, অ্যাডভোকেট আব্দুল মোমিন হামিদুল ও অ্যাডভোকেট নূর-ই- আলম সিদ্দিক নির্বাচিত হয়েছেন। অপরদিকে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও নিরীক্ষা সম্পাদক পদে যথাক্রমে নির্বাচিত হন- আওয়ামী লীগ সমর্থিত বঙ্গবন্ধু আইনজীবী পরিষদ ও সম্মিলিতি আইনজীবী সমন্বয় পরিষদের নৃপেন- সুফিয়ান প্যানেলের প্রার্থী অ্যাডভোকেট মো. খলিলুর রহমান মন্ডল ও অ্যাডভোকেট মো. মানিক হোসেন। সিনিয়র আইনজীবী অ্যাডভোকেট আব্দুর রহমান (২) প্রধান নির্বাচন কমিশনারের দায়িত্ব পালন করেন। জয়পুরহাট জেলা আইনজীবী সমিতির (জেলা বার) এ নির্বাচনে মোট ১৯৩ জন ভোটারের মধ্যে এবার ১৮৮ জন ভোটার (আইনজীবী) তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন।