দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে স্থানীয় পুলিশ কর্মকর্তা ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ উত্থাপিত হচ্ছে। এসব বিষয়ে ভুক্তভোগীরা মহাপরিদর্শক বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। কিন্তু অভিযোগগুলো দ্রুত নিষ্পত্তি করা হচ্ছে না। রোববার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এক রিটের রায়ে এই মন্তব্য করেন। একইসঙ্গে আইজিপি কমপ্লেইন্টস মনিটরিং সেল’র কার্যক্রম আরো গতিশীল করবেন বলে আদালত দৃঢ় আশা ব্যক্ত করেন।
রায়ে পুলিশের কার্যক্রম উল্লেখ করে আদালত বলেন, আমরা দৈনন্দিন বিচার কার্যক্রম পরিচালনা করতে গিয়ে ইদানীং লক্ষ্য করছি দেশের বিভিন্ন স্থানে স্থানীয় পুলিশ কর্মকর্তা ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ উত্থাপিত হচ্ছে। এসব বিষয়ে ভুক্তভোগীরা মহাপরিদর্শক বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। কিন্তু অভিযোগগুলো দ্রুত নিষ্পত্তি করা হচ্ছে না।
বাংলাদেশ পুলিশ মহান মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতার সংগ্রাম এবং পরবর্তী বিভিন্ন সময়ে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি রক্ষা ও উন্নয়ন, সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ দমন, অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার, জাতিসংঘ শান্তি মিশনের কার্যক্রমে যে অনবদ্য অবিস্মরণীয় ভূমিকা রেখেছে এবং রেখে চলেছে তা শুধু পুলিশ বাহিনীর জন্য গৌরবের নয়, সমগ্র জাতির গৌরব। কিন্তু এই গৌরব গুটিকয়েক পুলিশ কর্মকর্তা বা সদস্যের অন্যায়, বেআইনি আচরণ ও অপরাধের কারণে ম্লান হতে দেয়া যাবে না। সে কারণে আদালত প্রত্যাশ করেন, পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ উত্থাপিত হলে ওই অভিযোগ সম্পর্কে দ্রুততার সাথে বিভাগীয় তদন্ত সম্পন্ন এবং দ্রুত আইনানুগ পদক্ষেপ গ্রহণ করা প্রয়োজন। আদালতের এ প্রত্যাশা বিবেচনায় নিয়ে মহা পুলিশ পরিদর্শক এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ এবং আইজিপি কমপ্লেইন্টস মনিটরিং সেল’র কার্যক্রম আরো গতিশীল করবেন বলে আদালতের দৃঢ় বিশ্বাস।