নির্বাচন কমিশনের নিয়োগে যে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে দুর্নীতি দমন কমিশনের মাধ্যমে এর তদন্ত দাবি করেছে বিএনপি। রাতে দলের স্থায়ী কমিটির বৈঠক শেষে মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম এই দাবি জানিয়ে বলেন, ভারতের সঙ্গে যে সকল চুক্তি হয়েছে তা জানতে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে দেয়া চিঠির জবাব না পাওয়ায় তথ্য অধিকার আইনের আশ্রয় নেবে বিএনপি। এ আইনে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত স্থায়ী কমিটির বৈঠক শেষে মির্জা ফখরুল বলেন, সম্প্রতি ভারতের সঙ্গে যে সকল চুক্তি হয়েছে এসব বিষয়ে জানতে চেয়ে প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমরা একটি চিঠি দিয়েছিলাম। আমরা সাত দিনের বেশি সময় অপেক্ষা করেও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় এর পক্ষ থেকে বা প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে কোন রেসপন্স পাইনি। সে কারণে আমাদের পূর্ব সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আমরা তথ্য অধিকার আইনে পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ে এসব বিষয়ে জানতে চেয়ে একটি চিঠি দেব। আগামী দুই একদিনের মধ্যেই আমরা চিঠি দেব। আগামী ৫ই ডিসেম্বর শুনানিতে বেগম খালেদা জিয়া ন্যায়বিচার পাবেন বলে আশা করে ফখরুল বলেন, বেগম খালেদা জিয়ার চিকিৎসার জন্য যে মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়েছে তারা ইতোমধ্যে ওনার শারীরিক অবস্থা অনেকটা ক্রিটিক্যাল মোমেন্টে আছে বলে জানিয়েছেন।
তিনি দিন দিন পঙ্গুত্বের দিকে যাচ্ছেন। তারা আরো বলেছেন, ম্যাডামের আরো ভালো চিকিৎসা দরকার।
নির্বাচন কমিশনের সকল দুর্নীতির তদন্ত করার জন্য দুর্নীতি দমন কমিশনের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বিএনপির মহাসচিব বলেন, নির্বাচন কমিশন নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে দুই ভাগে বিভক্ত। সংবিধানকে লঙ্ঘণ করে প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং সচিব নির্বাচন কমিশনে লোক নিয়োগ দিচ্ছেন। কারণ কমিশনের সকল বিষয়ে সবার একমত হতে হয়, কিন্তু তারা কারো মতের তোয়াক্কা না করে নিজেরাই লোক নিয়োগ দিচ্ছে। বৈঠকে স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, মির্জা আব্বাস, ব্যারিস্টার জমিরউদ্দিন সরকার, ড. আব্দুল মঈন খান, গয়েশ^র চন্দ্র রায়, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, বেগম সেলিমা রহমান উপস্থিত ছিলেন।