ঝাঁজ কমেনি পেঁয়াজে, শীতের সবজির দামও সীমানার বাইরে

Slider জাতীয় সারাদেশ


ঢাকা: সংকট কাটাতে তড়িঘড়ি আমদানি করা হলেও বাজারে পেঁয়াজের ঝাঁজ কমেনি। মানভেদে প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ খুচরায় বিক্রি হচ্ছে ২১৫-২২০ টাকায়। কোনো কোনো দোকানে অবশ্য ২৩০ থেকে ২৪০ টাকায় বিক্রি হতেও দেখা গেছে। আর আমদানি করা পেঁয়াজ কেজি ২০০ টাকার নিচে বিক্রি হচ্ছে। বিক্রেতারা বলছেন, পেঁয়াজের দাম গত দুই দিন বাড়েনি। তবে দাম কমছেও না। দেশি পেঁয়াজের দাম বেশি হলেও সরবরাহ কিছুটা কম। আমদানি পেঁয়াজের সরবরাহ যথেষ্ট হলেও দাম কমছে না।

এদিকে পেঁয়াজের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাজারে সব ধরনের সবজির দামও চড়া। শীতের সবজি বাজারে এলেও দাম অনেক। গত এক সপ্তাহ আগে বাজারে সবজির যে দাম ছিল, এখনো ওই একই দামে কিনতে হচ্ছে ভোক্তাকে।

গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর পাঁচটি কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা গেছে, শীতের সবজিতে ভরপুর থাকলেও দামে চড়া। খুচরা বাজারে পেঁয়াজের দামও কমেনি। তবে স্বস্তির বিষয় হলো, খুচরায় পেঁয়াজের দাম নতুন করে বাড়েনি। ২১৫ থেকে ২২০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে দেশি পেঁয়াজ।

সবজির এমন দাম নিয়ে খুচরা বিক্রেতারা বলছেন, পাইকারি বাজারে দাম বেশি হওয়ায় খুচরা বাজারে বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে। সেগুনবাগিচা, রামপুরা, ভাটারা ও বাড্ডার গুদারাঘাট কাঁচাবাজারের বিক্রেতারা জানান, শীতের সবজি বাজারে এলেও পাইকারি বাজার কারওয়ান বাজার থেকে বেশি দামে কিনতে হচ্ছে তাঁদের। পেঁপে ছাড়া সব ধরনের সবজি প্রতি কেজি ৫০ টাকার ওপরে। পেঁপে বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকা কেজি।

টিসিবির বাজার পর্যালোচনা বলছে, গতকাল পেঁয়াজ, খোলা ময়দা, ডাল, আলু, এলাচ ও ব্রয়লার মুরগির দাম বেড়েছে। আর আদার দাম সামান্য কমে অন্য নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের বাজার স্থিতিশীল রয়েছে।

সবজি আড়তদাররা বলছেন, শীতের আমেজ শুরু হলেও সেভাবে বাজারে সবজি আসছে না। আর কদিন আগের বৃষ্টিতে অনেক সবজি নষ্ট হয়ে গেছে। এ জন্য প্রত্যাশিত সবজি এখনো বাজারে আসেনি। আগামী সপ্তাহ থেকে আড়তে সবজি সরবরাহ বাড়বে বলে জানান তাঁরা।

বাজার ঘুরে দেখা যায়, শীতের ফুলকপি প্রতি পিস বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৬০ টাকায়। নতুন দেশি আলু বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকা কেজি। মরিচের দাম কেজিতে ৫-৭ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। ভালো মানের কাঁচা মরিচ বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৮০-৯০ টাকা।

শীতের সবজি শিমের দামও কমেনি। গতকাল চ্যাপ্টা ও লম্বা শিম প্রতি কেজি বিক্রি হয়েছে ৫০ থেকে ৬০ টাকা। নতুন কাঁচা টমেটো বিক্রি হয়েছে ৮০ থেকে ৮৫ টাকা। সাদা ও কালচে রঙের বেগুন বিক্রি হয়েছে ৫০ টাকা কেজি। লালশাক প্রতি আঁটি ১৫ থেকে ২০ টাকা।

ব্রয়লার মুরগির দাম বাড়তি: বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ব্রয়লার মুরগির দাম কেজিতে ৫ থেকে ১০ টাকা বেড়েছে। গত সপ্তাহে ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হয়েছে ১১০ থেকে ১২০ টাকা কেজি। গতকাল বিক্রি হয়েছে ১১৫ থেকে ১২৫ টাকা কেজি।

ভাটারা কাঁচা বাজারের সবজি বিক্রেতা আব্দুর রহিম কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘শীতের আমেজ চলে এসেছে; কিন্তু সবজির সরবরাহ যথেষ্ট নয়। আড়ত থেকে বেশি দামে ফুলকপি, শিম ও শাক কিনতে হচ্ছে। ছোট-বড় মিলে কেনা হয় ফুলকপি। দোকানে নিয়ে আসার পর ছোটগুলো একটু কম দামে, আর বড়গুলো একটু বেশি দামে বিক্রি করে সমন্বয় করা হয়।’

পশ্চিম রামপুরার কাঁচা বাজারের সবজি বিক্রেতা সজীব কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘গত সপ্তাহে সবজির যে দাম ছিল, এখনো তাই-ই আছে। শীতের সবজি বাজারে এলে দাম কমার কথা। কিন্তু আমরা আড়ত থেকে বেশি দামে কিনছি। ফলে কম দামে বিক্রি করতে পারছি না। প্রায় সব সবজির দাম প্রতি কেজি ৫০ টাকার ওপরে।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *