ঢাকা: প্রেমে চুম্বনের গুরুত্ব বিরাট। প্রেমিক বা প্রেমিকা একে অপরকে ঠিক কীভাবে চুম্বন করেন, তার উপরে বোঝা যায় সম্পর্কের গভীরতা কতটা।
প্রেম করলে চুম্বনের ইচ্ছা জাগবেই। কিন্তু শরীরের কোথায় চুম্বন, তা দেখে বোঝা যায় অনেক কিছু।
কারও প্রেমে পড়লে তাকে চুম্বন করতে ইচ্ছে করে। এটা অত্যন্ত স্বাভাবিক অনুভূতি। কিন্তু সেই চুম্বনের ধরন দেখলে বোঝা যায় প্রেমের অনুভূতিটা কতটা গভীর। প্রেমের মধ্যে একাধিক অনুভূতি মিশে থাকে— স্নেহ, মমতা, শরীরী আকর্ষণ— সবকিছু মিলিয়েই প্রেমের অনুভূতি গড়ে ওঠে।
যদি প্রেমের মধ্যে মানসিক যোগাযোগ কম আর শরীরী আকর্ষণের মাত্রা বেশি থাকে, তবে চুম্বন হবে এক রকম। আবার যদি প্রেমে স্নেহের মাত্রা বেশি থাকে, তবে চুম্বনের ধরনটা অনেকটাই অন্যরকম হবে। শুধু তাই নয়, প্রেমিকার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হওয়ার মুহূর্তে প্রেমিক ঠোঁট বাদ দিয়ে তার শরীরের কোন অঙ্গে বার বার চুম্বন করছে, সেটা দেখেও বোঝা যায় প্রেমের ধরনটা ঠিক কী রকম।
শরীরের বিশেষ ৫টি জায়গা এক্ষেত্রে খুব গুরুত্বপূর্ণ— কপাল, গাল, নাক, নাভি বা কোমর ও হাতের উল্টো দিক।
কপাল— কপালে চুম্বন অত্যন্ত গভীর প্রেমের লক্ষ্ণণ। প্রেমিক যদি বার বার কপালে চুম্বন করেন তবে বুঝতে হবে তাঁর অনুভূতি অত্যন্ত প্রবল এবং সম্পর্ক নিয়ে তিনি খুবই সিরিয়াস।
গাল— বার বার গালে চুম্বন প্রবল সখ্যতার লক্ষ্ণণ অর্থাৎ প্রেমে বন্ধুত্বের জায়গাটি খুব দৃঢ়। এই প্রবণতা এটাও বলে দেয় যে এই সম্পর্কে একজন আর একজনকে প্যাম্পার করতে পছন্দ করেন।
নাক— একে অপরের জন্য প্রবল স্নেহ এবং বন্ধুত্বপূর্ণ মনোভাব থাকলে নাকে চুম্বন করার ইচ্ছেটা আসে।
নাভি বা কোমর— প্রেমিকার নাভি বা কোমরের কাছে চুম্বন যৌনতার প্রকাশ। যদি যৌনমিলন ছাড়াও এমনি সময়েও কোমরে বার বার চুম্বন করেন প্রেমিক তবে বুঝতে হবে তিনি প্রেমিকার প্রতি শারীরিকভাবে অত্যন্ত বেশি রকম আকৃষ্ট।
হাতের উল্টো পিঠ— এই চুম্বন পাশ্চাত্য সংস্কৃতিতে বেশি প্রচলিত। সেখানে এটি যে কোনও মেয়েকেই সম্মান জানানোর একটি ধরন। তা বাদ দিয়ে প্রেমের ক্ষেত্রে এর আলাদা গুরুত্ব রয়েছে। প্রেমিকার হাতে যাঁরা এভাবে চুম্বন করেন, তাঁদের প্রেমিকার প্রতি গভীর সম্মান রয়েছে।
সূত্র: এবেলা