ডেস্ক | প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমাদের সবাইকে মনে রাখতে হবে- ভোগে না, ত্যাগেই মহত্ত্ব। কি পেলাম, কি পেলাম না তা চিন্তা না করে বরং কতটুকু দিতে পারলাম সেই চিন্তা মাথায় নিয়ে রাজনীতি করতে হবে। তিনি বলেন, নেতৃত্বে আসতে হলে ত্যাগের মনোভাব থাকতে হবে। যুবসমাজকে মাদক, সন্ত্রাস ও দুর্নীতি থেকে দুরে থাকতে হবে। একটা দেশকে যুবশক্তিই উন্নত করতে পারে।
আজ রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের সপ্তম কংগ্রেসে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, দুর্নীতি করে অর্থ উপার্জন করে আন্তর্জাতিক বড় বড় ব্র্যান্ডের জিনিস পরে ঘুরতে পারেন। এতে হয়তো আত্মতুষ্টি পাওয়া যেতে পারে, মানুষ চেয়ে চেয়ে দেখতে পারে, কিন্তু মানুষের কাছে সম্মান পাওয়া যায় না।
এর আগে আজ সকাল ১১টার দিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে এ সম্মেলনের উদ্বোধন করেন।
সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটিসহ সারাদেশের ৭৭টি সাংগঠনিক জেলা ও ৮টি সাংগঠনিক জেলার মর্যাদাসম্পন্ন বৈদেশিক শাখার প্রায় ৩ হাজার কাউন্সিলর, ২৫ হাজার ডেলিগেটস ও ৮ হাজার অতিথি মিলিয়ে অন্তত ৩৬ হাজার মানুষ কংগ্রেসে উপস্থিত থাকার কথা।
বিকাল ৩টায় ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে কাউন্সিল অধিবেশন অনুষ্ঠিত হবে। এ কাউন্সিলে নতুন নেতৃত্ব আসবে সংগঠনটির।
প্রধানমন্ত্রী তার ভাষণে বলেন, দেশ গড়তে প্রয়োজন যুবসমাজের মেধা কাজে লাগানো। কিন্তু ৭৫ এরপর যুবসমাজকে বিপথে ঠেলে দেয়া হয়। ২১ বছর পর আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে মানুষের কল্যাণে কাজ করতে শুরু করে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, যুবসমাজকে বঙ্গবন্ধুর ‘কারাগারের রোজনামচা’ ও ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ মনোযোগ দিয়ে পড়তে হবে। তাহলেই লোভ-লালসার ঊর্ধ্বে ওঠে কীভাবে দেশ ও মানুষের জন্য কাজ করা যায় শিখতে পারবে। আমাদের সবাইকে এ কথাটা মনে রাখতে হবে- ভোগে নয় ত্যাগেই হচ্ছে মহত্ত্ব। কী পেলাম না পেলাম সেটা বিবেচ্য নয়। কতটুকু দেশ ও মানুষের জন্য কাজ করতে পারলাম সেটাই দেখার বিষয়।
কংগ্রেসে সভাপতিত্ব করেন জাতীয় কংগ্রেস প্রস্তুতি কমিটির আহ্বায়ক ও প্রেসিডিয়াম সদস্য চয়ন ইসলাম। সভা পরিচালনা করেন সদস্য সচিব ও সাধারণ সম্পাদক হারুন-অর-রশিদ ।