অর্ধশতাধিক হেভিওয়েট ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে কালো তালিকাভুক্ত করতে যাচ্ছে সরকার। আগামীতে এসব প্রতিষ্ঠান সরকারের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কার্যক্রমের দরপত্র প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে পারবে না। এ ধরনের বেশ কয়েকটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের চলমান উন্নয়ন কাজ বিকল্প উপায়ে বাস্তবায়নের চিন্তাভাবনা চলছে। এসব ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কাজ অন্যভাবে বাস্তবায়নের জন্য সরকারের শীর্ষ পর্যায় থেকে নির্দেশনাও দেয়া হয়েছে। গত কয়েক বছরে সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন মূলক প্রকল্পের কাজ পাওয়া বেশ কিছু হেভিওয়েট প্রতিষ্ঠান কালো তালিকাভূক্ত হচ্ছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে। টেন্ডার মোগল জি কে শামীম, স্বাস্থ্য সেক্টরের মোতাজ্জেরুল ইসলাম মিঠুর সব কোম্পানিকে কালো তালিকাভূক্ত করা হচ্ছে। এছাড়া, বহুল আলোচিত একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানও রয়েছে এ তালিকায়। চাল-গম রাখার গুদাম নির্মাণে নয়ছয়ের অভিযোগ রয়েছে এ প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে।
জিকে শামীমের অপকর্মের খতিয়ান এখন সবারই জানা। তার মালিকাধীন কোম্পানিগুলো সরকারের একাধিক গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পের কাজ করছিল। এ কাজগুলো অন্য কোন কোম্পানিকে দিয়ে কিভাবে করানো যায় তা নিয়ে চিন্তাভাবনা চলছে। অন্যদিকে, স্বাস্থ্য সেক্টরের বহুল আলোচিত ঠিকাদার মোতাজ্জেরুল ইসলাম মিঠু বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছেন। তার মালিকাধীন সব কোম্পানিকে এখন কালো তালিকাভূক্ত করেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অধীন বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান। সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, কালো তালিকাভূক্ত প্রতিষ্ঠানের তালিকা আগামীতে আরও বাড়বে। দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত কোন কোম্পানিকেই ছাড় দেয়া হবে না। জিকে শামীমের বিভিন্ন কোম্পানির বাস্তবায়নাধীন কার্যক্রমের ভবিষ্যৎ প্রসঙ্গে গণপূর্তমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম মানবজমিনকে বলেন, চুক্তি অনুযায়ী কোনো কোম্পানি যদি প্রকল্পের কাজ একনাগাড়ে ২৮ দিন বন্ধ রাখে তাহলে যে পরিমাণ কাজ সম্পন্ন হয়েছে তা পরিমাপ করে চুক্তি বাতিল করা যায়। এক্ষেত্রেও আমরা সংশ্লিষ্ট বিধান অনুযায়ী অগ্রসর হচ্ছি।