ইডেনে গোলাপি বলের টেস্ট শুরু হবে ২২শে নভেম্বর। সেখানে আমন্ত্রিত অতিথির তালিকায় রয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নাম। প্রথমবার দিন-রাতের টেস্টে মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ-ভারত। বলা চলে সেই ম্যাচ ঘিরে কলকাতায় চলছে ব্যাপক আয়োজন। বিশেষ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ঘিরে। তাকে রত্নখচিত গোলাপি বল উপহার দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ক্রিকেট এসোসিয়েশন অব বেঙ্গলের (সিবিএ) কর্তারা। শুধু তাই নয় তার জন্য থাকবে কলকাতার বিখ্যাত শাড়ি আর সাল। তবে এতদিন শোনা যাচ্ছিল তার জন্য ৫২ পদের খাবারের মেন্যু তৈরি করা হয়েছে।
সেখানে থাকছে বাংলার ইলিশ মাছের নানা পদও। কিন্তু অবশেষে জানা গেল এবার হাসিনার পাতে উঠছে না কোনো ইলিশ। মেন্যুতে আনা হয়েছে বড় পরিবর্তন। তিনদিন আগেই ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের নয়া সভাপতি সৌরভ গাঙ্গুলী তা নিশ্চিত করেছেন। সেখানে মাংসের পদ একটি থাকছে। বলা হচ্ছে করা হবে কষা মাংস। আর মাছের পদ একটি। কিন্তু সেটি ইলিশ নয়, ভেটকি। তবে কেন এমন পরিবর্তন তা জানা যায়নি।
অন্যদিকে ইলিশ না থাকলেও মধ্যাহ্নভোজে থাকছে তাওয়া পরটা, ডালমাখানিসহ হরেক রকমের খাবার। অন্যদিকে নিরাপত্তা থাকছে খাবারের রান্নাতেও। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী যে হোটেলে উঠবেন সেখানকার রান্নাঘরে রাখা হচ্ছে সিসিটিভি ক্যামেরা। প্রতিটি রান্নাই হবে কঠোর নজরদারিতে। শুধু তাই নয় প্রধানমন্ত্রীর পাতে পরিবেশনের আগে তা চেখে পরীক্ষা করে দেখবে অন্য কেউ। এরপরই তা পরিবেশন করা হবে। শেখ হাসিনার সঙ্গে থাকছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জিও। তিনি ইডেন টেস্টে থাকতে সম্মত হয়েছেন। অন্যদিকে ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহও নিশ্চিত করেছেন মাঠে আসার। তবে এখন ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদির অপেক্ষা। যদিও তার বিষয়টি নিয়ে রাখা হচ্ছে প্রচণ্ড রাখঢাক। হয়তো দু’দিন আগে জানা যাবে তিনি আসবেন কিনা। আপাতত তার জন্য চলছে অপেক্ষা।
শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নামবেন কলকাতায়। বিমানবন্দর থেকে তিনি সরাসরি চলে যাবেন হোটেলে। তাকে বিমানবন্দর থেকে নিয়ে আসবেন সৌরভ গাঙ্গুলী। অবশ্য প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বাংলাদেশ থেকে আসা ৬৬ সদস্যের সবার ইডেনে জায়গা মিলবে না। এমনকি সিবিএর অনেক সদস্যও প্রবেশ করতে পারবেন না ইডেনে। বিশেষ কয়েকজনই পাবেন এ সুযোগ।
গোলাপি বল আসবে প্যারাট্রুপারে
আলোচনা ছিল গোলাপি বল নিয়ে মাঠে আকাশ থেকে প্রবেশ করবে ভারতীয় এয়ারফোর্সের সদস্যরা। অবশেষে তা নিশ্চিত হয়েছে বলেই জানা গেছে। সিবিএ সূত্র বলছে হেলিকপ্টার থেকে প্যারাট্রুপারে করে এয়ার ফোর্সের সদস্যরা দুটি বল নিয়ে মাঠে নেমে আসবেন। তারাই বাংলাদেশ ও ভারতের অধিনায়কের হাতে তুলে দেবেন দুটি গোলাপি বল। শুধু তাই নয় কলকাতার বিশেষ বিশেষ ভবনও রাঙানো হচ্ছে গোলাপি রঙে।