ডেস্ক | দক্ষিণ এশিয়ায় সবচেয়ে বেশি ঘুষের ঝুঁকিতে রয়েছে বাংলাদেশ। যুক্তরাষ্ট্র-ভিত্তিক ঘুষবিরোধী আন্তর্জাতিক ব্যবসায়ী সংগঠন ট্রেস ইন্টারন্যাশনাল ঘুষের ঝুঁকি বিষয়ক এক প্রতিবেদনে এমনটা বলেছে। ‘ট্রেস ব্রাইবারি রিস্ক ম্যাট্রিক্স’ শীর্ষক ওই প্রতিবেদন অনুসারে, চলতি বছরের সূচকে বাংলাদেশে ঘুষের ‘রিস্ক স্কোর’ এসেছে ৭২। গত বছরের তুলনায় তা দুই পয়েন্ট বৃদ্ধি পেয়েছে।
ট্রেস জানিয়েছে, দক্ষিণ এশিয়ায় সবচেয়ে বেশি ঘুষের ঝুঁকিতে রয়েছে বাংলাদেশ। সংগঠনটির চলতি বছরের সূচকে ১৭৮তম হয়েছে বাংলাদেশ। প্রতিবেশী দেশগুলোর মধ্যে ভারত হয়েছে ৭৮তম ও পাকিস্তান ১৫৩তম।
প্রতিবেদনে ট্রেস জানিয়েছে, প্রত্যেক দেশকে বিভিন্ন দিক বিচারে ১ থেকে ১০০’র মধ্যে স্কোর দেয়া হয়েছে। যে দেশের স্কোর যত বেশি সেদেশে ব্যবসায় তত বেশি ঘুষের ঝুঁকি রয়েছে। সূচক অনুসারে, বিশ্বের সবচেয়ে কম ঘুষের ঝুঁকি রয়েছে যথাক্রমে নিউজিল্যান্ড, নরওয়ে, ডেনমার্ক, সুইডেন ও ফিনল্যান্ডে।
সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিস¤পন্ন দেশগুলো হচ্ছে যথাক্রমে ভেনেজুয়েলা, ইয়েমেন, উত্তর কোরিয়া, দক্ষিণ সুদান ও সোমালিয়া।
কোনো খাতের প্রাপ্য স্কোর ভালো না খারাপ তা বিবেচনা করা হয় ওই খাতের সার্বিক ব্যবস্থাপনার বিচারে। সরকারের সঙ্গে বাণিজ্যিক স¤পর্কের বিচারে বাংলাদেশকে ৮৬ স্কোর দেয়া হয়েছে। কেননা, বাণিজ্যের ক্ষেত্রে সরকারের সঙ্গে উচ্চ পর্যায়ের সক্রিয়তা থাকায় ঘুষ গ্রহণের আকাক্সক্ষাও উচ্চ থাকে। বাড়ে নিয়ন্ত্রক ঝুকিও।
ঘুষবিরোধী প্রতিরোধক ও প্রয়োগের বিচারে বাংলাদেশ পেয়েছে ৬৩ স্কোর। দেশে ঘুষ গ্রহণ দমনে পর্যাপ্ত পদক্ষেপের অভাব ও ঘুষবিরোধী আইনের প্রয়োগ স্বল্পতার কারণে এই স্কোর দেয়া হয়েছে।
সরকারি ও নাগরিক সেবায় স্বচ্ছতার বিচারে বাংলাদেশকে ৬০ স্কোর দেয়া হয়েছে। এছাড়া, নাগরিক সমাজের পর্যবেক্ষণ ক্ষমতার বিচারে বাংলাদেশ পেয়েছে ৬৪। দেশে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ও মান নি¤œ পর্যায়ে হওয়ায় এবং নাগরিক সমাজের অংশগ্রহণ কম হওয়ায় এই স্কোর দেয়া হয়েছে।