‘রহস্য উদঘাটনে শিশু জিয়াদের বাবাকে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ করেছে, কোনো ইনটেনশন ছিল না। তবে অনভিপ্রেত কোনো ঘটনা ঘটে থাকলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
আজ রবিবার সচিবালয়ে ‘জঙ্গি প্রতিরোধ ও প্রতিকার সংক্রান্ত্র বিশেষ কমিটি’র বৈঠকের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এবং পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) হাসান মাহমুদ খন্দকার এ কথা বলেন।
ওয়াসার শক্তিশালী ক্যামেরায় পাইপের মধ্যে পড়ে যাওয়া শিশুটির অস্তিত্ব খুঁজে না পেলে রাতেই পুলিশি হেফাজতে নেওয়া হয় জিয়াদের বাবাকে। অভিযোগ ওঠে, ১২ ঘণ্টার মতো তাকে আটকে রেখে মানসিকভাবে নির্যাতন চালানো হয়।
গত শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর শাজাহানপুর রেলওয়ে কলোনি মাঠে খেলার সময় রেলওয়ের পরিত্যক্ত গভীর পাইপের মধ্যে পড়ে যায় সাড়ে ৩ বছরের শিশু জিয়াদ। রাতভর উদ্ধার অভিযানে শিশুটির অবস্থান জানা যায়নি। পরের দিন শনিবার দুপুরে স্বেচ্ছাসেবীদের মাধ্যমে শিশুটিকে উদ্ধার করা হয়। পরে তাকে মৃত ঘোষণা করে চিকিৎসকরা।
‘শিশু জিয়াদের বাবাকে পুলিশি হেফাজতের নামে দীর্ঘ সময় আটকে রেখে নির্যাতন করার অভিযোগ উঠেছে’ সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, নির্যাতনের অভিযোগ আমি শুনিনি। তবে তা যদি হয় তাহলে দুঃখজনক। হয়তো জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। ক্যামেরায় শিশুটির অবস্থান নিশ্চিত না হতে পারায় রহস্য সৃষ্টি হয়েছিল। সেই রহস্য উদঘাটনে হয়তো জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে।
স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী জানান, আইজিপি উপস্থিত আছেন তার কাছে জানুন।
পুলিশ মহাপরিদর্শক সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেন, এই ঘটনায় দুটি বিষয় ছিল। একটি অভিযান চলছে। অন্যটি- যখন অনিশ্চয়তা দেখা দেয়, তখন শিশুটিকে খুঁজে পাওয়া। সৎ উদ্দেশ্যে আন্তরিকভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। এতে যদি জিয়াদের বাবা মর্মাহত হয়ে থাকলে তা দেখা হবে। বিষয়টি জানার জন্য কেন বেশি সময় লাগলো তাও দেখা (ব্যবস্থা) হবে।
আইজিপি জানান, ঘটনাটি জাতীয় বিষয় হয়ে দাঁড়ায়। শুধু জিয়াদের বাবাকে নয়, জিয়াদের সঙ্গে যারা খেলছিল তাদের নেওয়া হয়েছিল বিষয়টি জানতে। তবে অনভিপ্রেত কিছু হয়ে থাকলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
শিশু উদ্ধারে অবহেলার অভিযোগের বিষয়ে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, রাতে যখন ওয়াসার ক্যামেরায় যখন শিশুটির অবস্থান ধরা পড়েনি, তখন রাত ৩টার দিকে আমি এবং পুলিশ কমিশনার চলে আসি। গার্বেজ সরিয়ে তার নিচে খোঁজার কথা বলা হয়েছিল। সেই মোতাবেক ফায়ার সার্ভিস অভিযান চালাচ্ছিল। পরদিন দুপুরে যখন অভিযান চলছে, তখন শিশুটিকে পাওয়া যাবে না মনে করে উদ্ধার অভিযান স্থগিত করে। উদ্ধার হলে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরাই তাকে হাসপাতালে নেয়।