ঘূর্ণিঝড় বুলবুল দুর্বল হয়ে স্থল নিম্নচাপে রূপ নিয়েছে। মংলা ও পায়রার ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত প্রত্যাহার করা হয়েছে। চট্টগ্রামের ৯ নম্বর মহাবিপদ সংকেত প্রত্যাহার। সর্বশেষ খবর অনুযায়ী উপকূলীয় অঞ্চলে তিন নম্বর সংকেত ও নদীবন্দরে দুই নম্বর সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক শামসুদ্দিন আহমেদ আজ রবিবার সকাল দশটায় সংবাদ সম্মেলনে জানান, ঘূর্ণিঝড় বুলবুল দুর্বল হয়ে স্থল নিম্নচাপে রূপ নিয়েছে। মোংলা ও পায়রার ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত প্রত্যাহার করা হয়েছে।
এদিকে চট্টগ্রামের ৯ নম্বর মহাবিপদ সংকেত প্রত্যাহার। উপকূলে তিন নম্বর সংকেত। আর নদী বন্দরে দুই নম্বর সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছ। এক নম্বর সতর্ক সংকেত যখন দেখানো হবে, তখন লঞ্চ চলতে পারবে। এখন নয়। তবে ফেরি চলতে সমস্যা নেই।
বুলবুল সুন্দরবন উপকূলে প্রবেশ করে আজ রবিবার ভোর পাঁচটায়। গত ২৪ ঘন্টায় সবচেয়ে বেশি বৃষ্টি হয়েছে সাতক্ষীরায় ১৪৪ মিলিমিটার। আর সেখানে বাতাসের গতিবেগ ছিল ঘন্টায় ৮১ কিলোমিটার। খুলনার কয়রায় বাতাসের গতিবেগ ছিল ৯৩ কিলোমিটার। পটুয়াখালীর খেপুপাড়ায় ১১৭ কিলোমিটার ছিল বাতাসের গতিবেগ। আর বৃষ্টি হয়েছে ১৩১ মিলিমিটার।
আবহাওয়ার বুলেটিনে ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের প্রভাবে আজ সারা দিন বৃষ্টি হবে। বুলবুলের অবস্থান এখন বাগেরহাট খুলনা এলাকায়। বাতাসের গতিবেগ এখন ৮০ কিলোমিটার থেকে ১০০ কিলোমিটার।