ঢাকা: আঘাত হেনেছে প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’। ঘূর্ণিঝড়টির প্রভাবে বাংলাদেশের উপকূলীয় কয়েকটি জেলায় কাচা ও আধাপাকা ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত সাতক্ষীরার কয়েক হাজার ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। জলোচ্ছ্বাসের কারণে বেশ কয়েকটি জেলার উপকূলীয় বাঁধ বিধ্বস্ত হয়ে পানি মূল ভূখণ্ডে প্রবেশ করেছে। এছাড়া ঘূর্ণিঝড়টি আঘাত হানার আগেই ১৮ লক্ষাধিক মানুষকে নিরাপদে আশ্রয়কেন্দ্রে নিয়ে আসা হয়।
আজ রবিবার ভোর ৩টা থেকে প্রচন্ড ঝড়ো বাতাসে সাতক্ষীরায় বিধ্বস্ত হয়েছে কয়েক হাজার ঘরবাড়ি। এছাড়া উপকূলীয় শ্যামনগর এলাকায় কয়েক হাজার গাছগাছালি উপড়ে পড়েছে বলে জানা গেছে।
ঘূর্ণিঝড়টির কেন্দ্রভাগ ভোর পাঁচটার দিকে সুন্দরবন অঞ্চল দিকে বাংলাদেশের খুলনা ও ভারতের পশ্চিমবঙ্গে প্রবেশ করে। এরপর এটি ক্রমে দুর্বল হয়ে পড়ছে।
উপকূলীয় দ্বীপ ইউনিয়ন, গাবুরা ও পদ্মপুকুরের ৮০ শতাংশ কাঁচা ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। এছাড়া বৃষ্টির পানিতে বিভিন্ন এলাকায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে বলে গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন শ্যামনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. কামরুজ্জামান।
আবহাওয়ার বুলেটিনে জানানো হয়েছে, বুলবুল অতিক্রমের সময় উপকূলীয় জেলা চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, চাঁদপুর, বরগুনা, ভোলা, পটুয়াখালী, বরিশাল, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বাগেরহাট, খুলনা, সাতক্ষীরা এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরগুলোতে ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণসহ ঘণ্টায় ৮০-১০০ কিলোমিটার বেগে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরকে চার নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে হবে। উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ দেওয়ার আগ পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।