শনিবার সকালে ঢাকার মোহাম্মদপুরে বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অডিটোরিয়ামে কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সার্বিক ব্যবস্থাপনায় এই প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতা বেলা ১১টা থেকে শুরু হয়ে চলে বিকেল ৪টা পর্যন্ত।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মো. মসিউর রহমান রাঙ্গা প্রধান অতিথির বক্তব্যে বলেন, বিশ্বব্যাপী চাহিদার বিষয়টি মাথায় রেখে দক্ষ ও যোগ্য প্রোগ্রামার তৈরি করতেই এ ধরনের প্রতিযোগিতার কোনো বিকল্প নেই। তথ্যপ্রযুক্তি ক্ষেত্রে বর্তমান সরকারের সাফল্যের চিত্র তুলে ধরে রূপকল্প ২০২১ বাস্তবায়নে তিনি নবীন প্রোগ্রামারদের সহযোগিতা কামনা করেন।
উদ্বোধনী বক্তৃতায় বিইউবির বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান কাজী জামিল আজহার উচ্চশিক্ষায় বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটির ছাত্রছাত্রীদের কল্যাণে নেওয়া বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধার কথা তুলে ধরে তা কাজে লাগানোর জন্য শিক্ষার্থীদের আহ্বান জানান।
এ সময় তিনি ২০১৫ সালের মধ্যে বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটিকে একটি আধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে গড়ে তোলার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
এবার দেশের ৪০টি সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৮০টি দলের পাশাপাশি নেপাল থেকে দুটি দল এ প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়। প্রতিযোগিতার মূল বিচারকের দায়িত্ব পালন করেন বুয়েটের কম্পিউটার বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ কায়কোবাদ।
উৎসবমুখর পরিবেশে কম্পিউটার প্রতিযোগিতার পাশাপাশি টেকনিক্যাল টকস্, ক্লাউড কম্পিউটিং ইভোটস, প্রজেক্ট শোকেজিংসহ নানা আয়োজন অনুষ্ঠিত হয়। সন্ধ্যায় সমাপনী অনুষ্ঠানে বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করেন ঢাকা-১৩ আসনের সাংসদ জাহাঙ্গীর কবির নানক।
এবারের প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘এভেনজারস’ দল, প্রথম এবং দ্বিতীয় রানার্সআপ হয়েছে যথাক্রমে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘আত্মপ্রত্যয়ী’এবং ‘ডাউন টু দি ওয়্যার’ দল। পুরস্কার হিসেবে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান অধিকারী দলকে যথাক্রমে এক লাখ, পঞ্চাশ হাজার ও পঁচিশ হাজার টাকা করে দেওয়া হয়।
বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটির ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য কামরুল হাসানের সভাপতিত্বে আরো উপস্থিত ছিলেন ইউনিভার্সিটির বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান কাজী জামিল আজহার, বোর্ড অব ট্রাস্টিজের সদস্য, নগর ও পরিবেশবিদ স্থপতি ইকবাল হাবিব, প্রোগ্রাম ডাইরেক্টর সাদিক ইকবাল, ডেপুটি ডাইরেক্টর (ব্র্যান্ডিং) কাজী তাইফ সাদাত, বিভিন্ন অনুষদের ডিন ও বিভাগীয় প্রধানগণ।