প্রেসিডেন্ট যাচ্ছেন নেপাল প্রধানমন্ত্রী আমিরাতে

Slider জাতীয় সারাবিশ্ব


ঢাকা: কাছাকাছি সময়ে প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রী দু’টি গুরুত্বপূর্ণ সফরে বিদেশে যাচ্ছেন। দ্বিপক্ষীয় সফরে প্রেসিডেন্ট আবদুল হামিদ যাচ্ছেন প্রতিবেশী রাষ্ট্র নেপালে। ১২ই নভেম্বর থেকে ১৫ই নভেম্বর তিনি কাঠমান্ডুতে কাটাবেন। আর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সফরটি হবে সংযুক্ত আরব আমিরাতে। ইউএই সরকারের বিশেষ আমন্ত্রণে প্রধানমন্ত্রী দেশটির প্রযুক্তি যুগের স্মরণকালের সেরা আয়োজন দুবাই এয়ার শো-২০১৯-এ অংশ নিতে যাচ্ছেন। সব কিছু ঠিক থাকলে ১৬ই নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী দুবাই’র পথে রওনা হয়ে ফিরবেন ১৯ শে নভেম্বর।

নেপালে প্রেসিডেন্টের সর্বজনীন সফরের প্রস্তুতি: প্রেসিডেন্টের সফর প্রস্তুতির সঙ্গে যুক্ত ঢাকার কর্মকর্তারা জানিয়েছেন- নেপালে রাষ্ট্রপতি বিদ্যা দেবি ভান্ডারির আমন্ত্রণে কাঠমান্ডু সফরে দ্বিপক্ষীয় আলোচনা ছাড়াও তাঁর সম্মানে রাষ্ট্রপ্রতি আয়োজিত স্টেট ব্যাঙ্কুয়েটে অংশ নেবেন প্রেসিডেন্ট আবদুল হামিদ। নেপালের প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রেসিডেন্টের সঙ্গে আলাদাভাবে সাক্ষাৎ করবেন। সফরটি হবে সর্বজনীন।
নেপালের প্রভাবশালী রাজনীতিক বর্তমান সংসদের বিরোধী নেতা কে পি শর্মা ওলিরও প্রেসিডেন্টের সঙ্গে সাক্ষাতের সূচি রয়েছে।
হিমলায় কন্যা নেপালের নৈসর্গিক সৌন্দর্য্যও প্রেসিডেন্টকে ঘুরে দেখানোর প্রস্তুতিও রাখা হয়েছে হোস্ট কান্ট্রির তরফে।

রেকর্ড ভাঙ্গতে যাচ্ছে এবারের দুবাই এয়ার শো: মেঘা আয়োজন দুবাই এয়ার শো সংযুক্ত আরব আমিরাতের ফ্লাগশীপ প্রোগ্রাম। বর্নাঢ্য ওই আয়োজন বিশ্বে অন্য ইতিহাস সৃষ্টি করেছে দু’বছর আগে, ২০১৭ সালে। এবারে আয়োজকদের টার্গেট সেই রেকর্ড ভাঙ্গা! তারা জানিয়েছে- নিজেদের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় বাৎসরিক ওই প্রদর্শনীর এবারের আয়োজনে থাকচে নানান চমক। যা এয়ার শো’র পূর্বের সব আয়োজন থেকে বড় ও আকর্ষণীয় তথা অন্যন্য উচ্চতায় নিয়ে যাবে প্রোগ্রামটিকে। এই আয়োজনের ম্যানেজিং ডিরেক্টর মিশেল ফল আকেলিজেন বিশ্ব সংবাদ মাধ্যমকে বলেছেন- আমরা সমগ্র বছরই ব্যস্ত থাকি। তবে দুবাই এয়ারশো হচ্ছে আমাদের ফ্ল্যাগশিপ প্রোগ্রাম। এ বছরের এয়ারশো সমপর্কে তিনি বলেন, ২০১৭ সালের প্রদর্শনীটি একটি বড় নির্দেশক ছিলো। তবে এবার এখানে দর্শনার্থীর সংখ্যা ৮৯ হাজার ছাড়িয়ে যাবে বলে আশা করছি। এছাড়া অংশ নেবেন অন্তত ১২০০ প্রদর্শক যার মধ্যে ৪০ শতাংশেরও বেশি হচ্ছে প্রতিরক্ষা সম্পর্কিত। এতে প্রদর্শন করা হবে অন্তত ১৬৫টি বিমান। আকেলিজেন বলেন, আমরা আশা করছি রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানসহ ২৮০ জনেরও বেশি রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ প্রতিনিধি প্রদর্শনীতে অংশ নেবেন। এয়ার শো’র এমন আয়োজনে দুবাই বিশ্বের তৃতীয় অবস্থানে দাবি করে তিনি বলেন, ফ্রান্স ও ইংল্যান্ডের পরেই আমরা।

এবারের আয়োজনে চমকপ্রদ আরো কিছু নতুন নতুন ফিচার যুক্ত হচ্ছে। যার মধ্যে রয়েছে মহাকাশ প্যাভিলিয়ন, বিমানবন্দর সংক্রান্ত সমস্যার সমাধান জোন ও কার্গো প্রদর্শনী। উল্লেখ্য, ১৯৮৯ সাল থেকে দুবাই এয়ারশো হয়ে আসছে। দুবাই ইন্টারন্যাশনালে ১২ বার অনুষ্ঠিত হওয়ার পর ২০১৩ সালে আল মাকতুম বিমানবন্দরে এটি স্থানান্তরিত হয়। এর ১৬তম আসর প্রদর্শিত হবে আগামী ১৭ই নভেম্বর থেকে ২১শে নভেম্বর পর্যন্ত। এই ভেন্যুতে এটি এর ৪র্থ আয়োজন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *