ঢাকা:বয়সের ভারে ন্যুব্জ বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য লে. জে. (অব.) মাহবুবুর রহমান রাজনীতি থেকে অবসরে গেছেন। মাস দেড়েক আগে তিনি লিখিতভাবে অবসরে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন। দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ও প্রাথমিক সদস্যপদ প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। পদত্যাগ নিয়ে তার স্ত্রী ও বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলামের বড় বোন নাগিনা রহমান
দ্বিমত পোষণ করে সমকালকে জানান, তিনি দল থেকে পদত্যাগ করেননি।
বার্ধক্যজনিত কারণে সাবেক সেনাপ্রধান লে. জে. (অব.) মাহবুবুর রহমান দলের কোনো কর্মসূচিতে নিয়মিত ছিলেন না। দলের নীতিনির্ধারণী বৈঠকেও তিনি উপস্থিত থাকতে পারছিলেন না। একাদশ সংসদ নির্বাচনের আগেই তিনি রাজনীতি থেকে নিজেকে সরিয়ে নিয়েছিলেন। সে কারণে তিনি দলের কাছে মনোনয়নও চাননি সে সময়।
বুধবার রাতে সমকালকে মাহবুবুর রহমান বলেন, তার এখন বয়স হয়েছে। একটা সময় তো অবসরে যেতে হয়। তার জন্য তিনি রাজনীতিকে গুডবাই জানিয়েছেন। দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের কাছে তিনি পদত্যাগপত্র দিয়েছেন। তবে তার অবসরে যাওয়ার বিষয়ে দলের নেতারা জানেন না। দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, এ বিষয়টি মহাসচিব বলতে পারবেন। কারণ, পদত্যাগের বিষয়টি তাদের সামনে আসেনি। স্থায়ী কমিটির বৈঠকে বিষয়টি উত্থাপিত হয়নি। এ বিষয়ে বিএনপি মহাসচিবকে ফোন দেওয়া হলেও তিনি ফোন ধরেননি।
বিগত কয়েক বছরে বিএনপির সিনিয়র নেতাদের মধ্যে ভাইস চেয়ারম্যান শমসের মবিন চৌধুরী, ইনাম আহমেদ চৌধুরীর পর মঙ্গলবার বিএনপি ছাড়েন আরেক ভাইস চেয়ারম্যান এম মোর্শেদ খান। মাহবুবুর রহমানের পদত্যাগের মধ্য দিয়ে বিএনপির সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরামের কেউ প্রথমবারের মতো দল ছাড়লেন।
সেনাবাহিনী থেকে অবসর গ্রহণের পর বিএনপির রাজনীতিতে সম্পৃক্ত হন মাহবুবুর রহমান। ২০০১ সালে অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির মনোনয়নে দিনাজপুর-২ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত তিনি প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়-সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০০৮ সালে নবম সংসদ নির্বাচনে একই আসন থেকে নির্বাচন করে আওয়ামী লীগের প্রার্থী খালিদ মাহমুদ চৌধুরীর কাছে পরাজিত হন।