ঢাকা: উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলামের অপসারণ দাবিতে চলমান আন্দোলন ঠেকাতে অনির্দিষ্টকালের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণার পর এবার সব ধরনের সভা-সমাবেশ, মিছিল ও অফিস বা আবাসিক এলাকায় শিক্ষার্থীদের অবস্থানে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
বুধবার রাত ৮টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ অফিসের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক আব্দুস সালাম মিঞা স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ৫ নভেম্বর ২০১৯ তারিখে অনুষ্ঠিত সিন্ডিকেটের জরুরি সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ৬ নভেম্বর থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সব ক্লাস ও পরীক্ষা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। ইতোমধ্যে শিক্ষার্থীরা আবাসিক হল ছেড়েছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরের দোকানপাটও বন্ধ করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ মনে করে, এই সময়ে ক্যাম্পাসের অভ্যন্তরে কোনো শিক্ষার্থীর অবস্থান সমীচীন নয়।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের বাইরে ও ভিতরে অবস্থানরত কোনো শিক্ষার্থী ক্যাম্পাসে সভা-সমাবেশ, মিছিল করতে পারবে না। এছাড়া কোনো অফিস বা আবাসিক এলাকায়ও অবস্থান করতে পারবে না শিক্ষার্থীরা।
বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ যে কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা রোধ ও সার্বিক নিরাপত্তার স্বার্থে শিক্ষার্থীসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্তের প্রতি সম্মান প্রদর্শন ও দায়িত্বশীল আচরণ করতে অনুরোধ জানিয়েছেন।
কিন্তু ওই বিবৃতি প্রত্যাখ্যান করে আন্দোলন অব্যাহত রাখার ঘোষণা দিয়েছেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। আগামীকাল বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টায় নতুন করে বিক্ষোভ মিছিল এবং ভিসির বাড়ির সামনে প্রতিবাদী কনসার্ট করার কর্মসূচি দিয়েছেন তারা।
এই ঘোষণার পর বুধবার রাত ৯টার দিকেও আন্দোলনকারীরা বিক্ষোভ করেছেন। এবং আন্দোলনকারী নারী শিক্ষার্থীরা প্রতিবাদস্বরুপ আজ রাতে মেয়েদের একটি হলে অবস্থান নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। হলের তালা ভেঙেই তারা সেখানে অবস্থানের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে জানা গেছে।