বিশেষ প্রতিনিধি: শ্রমিক রাজনীতির অলংকার সৎ, মেধাবী ও নিষ্ঠাবান শ্রমিক বান্ধব রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব আলহাজ্ব হাবিবুর রহমান আকন্দ। যিনি তাঁর বর্নাঢ্য রাজনৈতিক জীবনে মেধা ও সততা দিয়ে শ্রমিকদের উন্নয়নে কাজ করে গেছেন। তাই সাধারণ শ্রমিকরা আগামী ৯ নভেম্বর ২০১৯ জাতীয় শ্রমিক লীগের কাউন্সিলে তাঁকে সভাপতি হিসেবে দেখতে চান বলে জানিয়েছেন। তাদের ধারনা তিনি সভাপতি হলে সাধারণ খেটে খাওয়া শ্রমিকদের সুখ দুঃখের সাথি হবেন তিনি। শ্রমিক রাজনিতিতে আসবে আমূল পরিবর্তন এবং শ্রমিকদের জীবন মান উন্নয়নে দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে পারবেন, এটি তাদের কেবল ধারনাই নয় ইতোপূর্বে তিনি তার নিদর্শন সৃষ্টি করেছেন।
আলহাজ্ব হাবিবুর রহমান আকন্দ জাতীয় শ্রমিক লীগের ১৭ বছরের সফল সিনিয়র সহ-সভাপতি, ঢাকা মহানগরের শ্রমিক লীগের ২৬ বছরের সাবেক সভাপতি এবং বাংলাদেশ রেলওয়ে শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। তিনি তৃণমূলের পরীক্ষিত শ্রমিক বান্ধন নেতা। সারা দেশে রয়েছে তার সততা, মেধামী ও ক্লিন ইমেজের পরিচিতি। জাতীয় এ শ্রমিক নেতা বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে ভালোবেসে ১৯৭১ সাল থেকে তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত হন।
আলহাজ্ব হাবিবুর রহমান আকন্দের গ্রামের বাড়ি গাজীপুর জেলার কাপাসিয়া উপজেলার দূর্গাপুর ইউনিয়নের রাওনাট গ্রামে। তাঁর পিতার নাম মরহুম মমতাজ উদ্দিন আকন্দ, মাতা মরহুমা আলকন নেছা। জন্ম ২০ মার্চ ১৯৫২ সাল । তিনি একই উপজেলার পাশবর্তী ভাকোয়াদী উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ১৯৬৮ সালে এসএসসি এবং পাশবর্তী কালীগঞ্জ উপজেলার জামালপুর ডিগ্রি কলেজ থেকে ১৯৭৩ সালে এইচএসসি পাশ করেন। তিনি ২ ছেলে ও ১ মেয়ের জনক। ১৯৭১ সালে বঙ্গবন্ধুর আহ্বানে গাজীপুর জেলার কাপাসিয়া থানার দূর্গাপুর ইউনিয়নের ০১নং ওয়ার্ড বর্তমানে ০৩নং ওয়ার্ডের ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে রাজনৈতিক পথ চলা। ১৯৭৩ সালে কাপাসিয়া থানা আওয়ামী লীগের সদস্য নির্বাচিত হয়ে অদ্যবধি সিনিয়র সদস্য। ১৯৭৩ সালে বাংলাদেশ রেলওয়ে চাকুরীতে যোগদান। ১৯৮৩ সাল হতে বেসিক সংগঠক হিসেবে বাংলাদেশ রেলওয়ে শ্রমিক লীগ, ঢাকা শাখায় সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন এবং পরবর্তীতে কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দীর্ঘদিন দায়িত্ব পালন যা এখনও আসীন। যে সংগঠনের সভাপতি ছিলেন যথাক্রমে মরহুম আলহাজ্ব রহমতুল্লাহ চৌধুরী, (সাবেক শ্রমবিষয়ক সম্পাদক, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ)। ১৯৮৬-২০১২ সাল পর্যন্ত ঢাকা মহানগর শ্রমিক লীগের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন। যার সাধারণ সম্পাদক ছিলেন ইসরাফিল আলম (এমপি), এরশাদ সরকার, খালেদার চারদলিয় জোট সরকারের সময় চাকুরীচুত ও নানা ধরণের নির্যাতনের শিকার হতে হয় তাকে। ১৯৯৪-১৯৯৬ সাল পর্যন্ত পাটকল শ্রমিক লীগের দপ্তর হিসাবে দায়িত্ব পালন। যার সাধারণ সম্পাদক ছিলেন মরহুম রেহান উদ্দিন রেহান। সভাপতি মরহুম রহমতুল্লাহ চৌধুরী (সাবেক শ্রম বিষয়ক সম্পাদক, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ)। ১৯৯৪-২০০৩ সাল পর্যন্ত জাতীয় শ্রমিক লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হিসাবে দায়িত্ব পালন। যার সাধারণ সম্পাদক ছিলেন মরহুম শহীদ আহ্সান উল্লাহ মাস্টার (এমপি), সভাপতি ছিলেন আবদুস সালাম খান।
আন্তর্জাতিক পর্যায়ে কর্ম জীবনেও রয়েছে তাঁর ভূমিকা: ১২ ডিসেম্বর ১৯৮৮ সালে ভারতের নয়াদিল্লিতে অনুষ্ঠিত (WFTU) সম্মেলনে যোগদান। ২০০০ সালে ফিলিপাইনের ম্যানিয়াল অনুষ্ঠিত (ICFTU) সম্মেলনে যোগদান। ২৭ জুলাই ২০১১ সালে থাইল্যান্ডে অনুষ্ঠিত (ITF) সম্মেলনে (রেলওয়ে ওর্য়াকার্স করফারেন্স) এর আমন্ত্রণে যোগদান। ৫-৭ জুন ২০১৩ সালে সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় অনুষ্ঠিত (ILO) সম্মেলনে যোগদান। একই বছর জাতীয় শ্রমিকলীগের আমন্ত্রণে ইতালি ও ফ্রাস সম্মেলনে বিশেষ অতিথি হিসেবে যোগদান। ৫-৭ ডিসেম্বর ২০১৬ সালে বেলজিয়ামের ব্রাসেলসে অনুষ্ঠিত (ITF) সম্মেলনে বাংলাদেশের একমাত্র প্রতিনিধি হিসেবে ইউরোপিয়ান ট্রান্সপোর্ট ওর্য়াকার্স ফেডারেশনের আমন্ত্রণে যোগদান। আইটিএফ কর্ঙ্কগেস ২০১৮ সিঙ্গাপুর সফর ১৪-২০ অক্টোবর।
রাজনৈতিক জীবনেও রয়েছে তাঁর নিরলস অবদান ১৯৭০ সালে জাতীয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রধান এজেন্ট ০১-০৩ নং ওয়ার্ড কর্মী হিসাবে নির্বাচনী মাঠে সক্রিয় ভূমিকা পালন। ১৯৭১ সালে বঙ্গবন্ধুর ডাকে ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ দুর্গাপুর ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন। তার সামাজিক কর্মকান্ডেও রয়েছে বিশেষ অবদান তিনি সভাপতি, দরিমেরুল উচ্চ বিদ্যালয় দড়িমেরুল, গাজীপুর। প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি, রাওনাইট দারুল আককান মাদ্রাসা ও এতিমখানা, রাওনাইট, গাজীপুর। সভাপতি, আজিজিয়া দাখিল মাদ্রাসা, গাজীপুর। প্রধান উপদেষ্টা, পেশাজীবী কল্যাণ পরিষদ, কাপাসিয়া, গাজীপুর।