খালেদা জিয়ার চিকিৎসা নিয়ে কথা বলার অধিকার ওবায়দুল কাদেরের নেই: ফখরুল

Slider জাতীয় ফুলজান বিবির বাংলা


বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার চিকিৎসা নিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের কথা বলার অধিকার নেই বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। গতকাল সন্ধ্যায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে একথা বলেন তিনি।
বৈঠকে সম্প্রতি ভারতের সঙ্গে করা প্রধানমন্ত্রীর সকল চুক্তির বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী এবং তথ্য কমিশনের কাছে চিঠি দিবে বিএনপি।

ফখরুল বলেন, বেগম জিয়ার শারীরিক অবস্থা কি আছে তা নিয়ে ওবায়দুল কাদেরের কথা বলার কোনো অধিকার নেই। কারণ তিনি ডাক্তার নন। তিনি তার রাজনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে বলছেন। আপনারা রাজনৈতিক দৃষ্টিকোণ বাদ দিয়ে মানবিক হোন। এসব পুরো মিথ্যা কথা বলে জনগণকে বিভ্রান্ত করা হচ্ছে এবং জনগণকে প্রকৃত সত্য থেকে দূরে ঠেলে দেয়া হচ্ছে। এভাবে ধীরে ধীরে তাকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেয়ার জন্য এসব মিথ্যা কথা বলা হচ্ছে।
ওবায়দুল কাদের সাহেবের কথায় অন্তত আমি বিস্মিত হয়েছি। তিনি যখন অসুস্থ হয়েছেন আমরা তার খোঁজ-খবর রেখেছি এবং রোগমুক্তি কামনা করেছি। তাই খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা নিয়ে রসিকতা করা রাজননৈতিক শিষ্টাচারের লক্ষণ নয়।

সম্প্রতি ভারতের সঙ্গে হওয়া চুক্তিগুলো খোলাসা করার আহ্বান জানিয়ে ফখরুল বলেন, ভারতের সঙ্গে যেসব চুক্তি হয়েছে এসব বিষয়ে জনগণ জানতে চায়। কি কি চুক্তি হয়েছে জনগণের কাছে খোলাসা করুন। বারবার বলা হয়েছে ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক সর্বোচ্চ পর্যায়ে রয়েছে। কিন্তু আমাদের সমস্যা সমাধানের বিষয়গুলো আমরা লক্ষ্য করছি না। আজকের বিষয়ে আমরা প্রধানমন্ত্রী এবং তথ্য কমিশন বরাবর চিঠি দিবো।

জাতীয় দুর্নীতি আড়াল করার জন্যই সরকার বর্তমান অভিযান চালানো হচ্ছে বলে অভিযোগ করে বিএনপির মহাসচিব বলেন, সরকার এবং তার মন্ত্রীরা জোরেশোরে বলছেন শুদ্ধি অভিযান চলছে। কিন্তু আমরা মনে করি জাতীয় দুর্নীতি আড়াল করার জন্যই এসব ছোটখাটো অভিযান চালানো হচ্ছে। পুরো জাতি আজ দুর্নীতিতে নিমজ্জিত হয়ে গেছে। সরকারের লোকেরা সরাসরিভাবেই এই দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত। গ্রামীণফোন ও রবিতে সরকারি লোকদের নিয়োগ দেয়া হচ্ছে। এতে করে বিদেশি বিনিয়োগকারীরা বিনিয়োগ করতে নিরুৎসাহিত হবে।

বৈঠকে আরো উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, মির্জা আব্বাস, ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, নজরুল ইসলাম খান, সেলিমা রহমান ও ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *