ডেস্ক | নিউ ইয়র্ক ছেড়ে ফ্লোরিডায় স্থায়ী হওয়ার ঘোষণা দিয়েছন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প। বৃহস্পতিবার এক ঘোষণায় এমনটা জানিয়েছেন তিনি। বলেছেন, নিউ ইয়র্কের ট্রাম্প টাওয়ার ছেড়ে ফ্লোরিডায় স্থায়ী হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি। তিনি অভিযোগ করেন, লাখ লাখ ডলার কর পরিশোধ করাস সত্ত্বেও নিউ ইয়র্কের রাজনীতিবিদরা তার সঙ্গে ভালো আচরণ করেনি। এ খবর দিয়েছে বিবিসি।
খবরে বলা হয়, ট্রাম্প নিউ ইয়র্কেই জন্মেছিলেন। কিন্তু জীবনের অনেকাংশ ফ্লোরিডার পাল্ম বিচ’এ অবস্থিত মার-এ-লাগো রিসোর্টেই কাটিয়েছেন। নিউ ইয়র্ক অঙ্গরাজ্যের গভর্নর অ্যান্ড্রিও কিয়োমো ও নিউ ইয়র্ক শহরের মেয়র বিল দে ব্লাসিওর সঙ্গে তার সম্পর্ক সাবলীল নয়। তারা দুজনই ডেমোক্র্যাট, আর ট্রাম্প রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট।
উভয় মেয়রই ট্রাম্পের সিদ্ধান্তকে স্বাগতম জানিয়েছেন।
দে ব্লাসিও এক টুইটে লিখেছেন, খেয়াল রাখবেন, যাবার পথে দরজায় যেন ধাক্কা না খান। অন্যদিকে, ট্রাম্পের কর পরিশোধের দাবিকে চ্যালেঞ্জ করেছেন কিয়োমো। তিনি বলেছেন, ফ্লোরিডা, তিনি তোমাদের। উল্লেখ্য, আগামী বছর অনুষ্ঠেয় মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে দ্বিতীয় মেয়াদের জন্য প্রতিযোগিতায় নেমেছেন ট্রাম্প। তিনি কখনোই তার কর ফেরত বিষয়ক ও নিজের ব্যক্তিগত কর প্রদানের তথ্য প্রকাশ করেননি। ১৯৮৫ সাল থেকে মার-এ-লাগোর কেনেন ট্রাম্প। প্রায়ই সেখান ঘুরতে যান তিনি।
রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট জানান, তিনি সবসময়ই নিউ ইয়র্কের স্মৃতিগুলো মনে রাখবেন। তবে দুর্ভাগ্যজনক তথ্য হলো, এই শহরকে লাখ লাখ ডলার পরিশোধ করার পরও এখানকার রাজনৈতিক নেতারা তার সঙ্গে ভালো আচরণ করেনি। আমার সঙ্গে যেমন আচরণ করা হয়েছে, এরকম আচরণের শিকার খুব কম মানুষই হয়েছেন।
নিউ ইয়র্ক টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, গত সেপ্টেম্বরেই ফ্লোরিডায় স্থায়ী আবাসনের জন্য আবেদন করেন ট্রাম ও তার স্ত্রী মেলানিয়া ট্রাম্প। ১৯৮৩ সাল থেকে নিউ ইয়র্কেই অবস্থান করেছেন ট্রাম্প। ভবিষ্যতে এখানে ফিরে আসার কোনো পরিকল্পনা প্রকাশ করেননি তিনি। এনবিসি নিউজ অনুসারে, ক্ষমতায় আসার পর থেকে মার-এ-লাগোতেই বেশি সময় কাটিয়েছেন ট্রাম্প। সেখানে ৯৯ দিন কাটিয়েছেন তিনি। আর ট্রাম্প টাওয়ারে কাটিয়েছেন মাত্র ২০ দিন।
এদিকে, ট্রাম্পের ঘোষণা নিয়ে কোনো মন্তব্য করেনি হোয়াইট হাউজ। তবে নিউ ইয়র্ক টাইমস এক সূত্রের বরাত দিয়ে জানিয়েছে, মূলত কর এড়াতেই ফ্লোরিডায় যাচ্ছেন ট্রাম্প। উল্লেখ্য যে, ফ্লোরিডায় কোনো আয়কর বা উত্তরাধিকার কর দেয়ার নিয়ম নেই। চলতি মাসের শুরুর দিকে এক মার্কিন আদালত, ট্রাম্পকে তার গত আট বছরের কর ফেরত বিষয়ক তথ্য দেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।