ঢাকা:জুয়াড়ির অনৈতিক প্রস্তাব গোপন করার অভিযোগে সাকিব আল হাসানকে নিষেধাজ্ঞার সাজা দিয়েছে আইসিসি। সাকিবকে বিপদের মুখে ফেলা জুয়াড়ি দীপক আগারওয়ালের সর্ম্পকে বেরিয়ে আসতে শুরু করেছে নানা তথ্য।
কীভাবে ক্রিকেটারদের টোপ দিয়ে আগারওয়াল ফাঁদে ফেলতেন, তিনি এখন কোথায় আছেন আর তার কাজের প্রক্রিয়াসহ কিছু তথ্য নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে ভারতীয় সংবাদ মাধ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস।
ভারতের হরিয়ানায় বাড়ি আগারওয়ালের। দেশটির ন্যাশনাল ক্যাপিটাল রিজিওনে একটি ক্রিকেট একাডেমি রয়েছে তার। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট অঙ্গনে তার বিচরণ রয়েছে। টি-টোয়েন্টি লীগের একজন প্রমোটর হিসেবে পরিচয় দেন তিনি।
হরিয়ানায় বাড়ি হলেও আগারওয়াল থাকেন দুবাইয়ে। সেখানেও তার ওপর নজরদারি করছে আইসিসির অ্যান্টি করোপশন ইউনিট।
সূত্র জানিয়েছে, আবুধাবিতে একটি খেলার সময় সন্দেহজনক আচরণের জন্য আইসিসির রাডারে আসেন আগারওয়াল। এরপর সাকিবের সঙ্গে যোগাযোগের তথ্য পেয়ে তার ওপর নজরদারি শুরু করে সংস্থাটি।
হরিয়ানায় আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়ার পর দুবাইয়ে পাড়ি জমান অভিযুক্ত বুকি আগারওয়াল। এখনও সেখানেই তার অবস্থান বলে জানা যাচ্ছে।
সূত্র বলছে, আগারওয়াল ম্যাচ ফিক্সিংয়ের সিন্ডিকেটের প্রধান কেউ নন; তবে গোয়ালিয়রভিত্তিক জুয়াড়িদের সঙ্গে তিনি কাজ করেন। গোয়ালিয়রের জুয়াড়িও আইসিসির নজরদারিতে আছে।
জুয়ারি আগারওয়ালের প্রথম কাজ হলো এজেন্ট পরিচয় দিয়ে ক্রিকেটারদের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করা। এরপর খেলোয়াড়দের প্রস্তাব দেন, তিনি যে টুর্নামেন্টের সঙ্গে আছেন সেখানে খেললে বড় অঙ্কের পারিশ্রমিক মিলবে।
প্রস্তাব গ্রহণ করলে এক পর্যায়ে আগারওয়াল খেলোয়াড়ের দলের ভেতরের খবর জানতে চান। পর্যায়ক্রমে চলে ম্যাচ ফিক্সিংয়ের কার্যক্রম। কেউ সেই ফাঁদে ধরা দেন কেউ বা প্রত্যখান করেন।